নারায়ণগঞ্জ ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত

মাকে পাগল সাজিয়ে প্রেরণ করলো রিহ্যাবে, বড় ছেলে করলো উদ্ধার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

বন্দর প্রতিনিধি ঃ    নারায়ণগঞ্জ বন্দর ২১ নং ওয়ার্ডের ছালেহনগর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ তোতা মিয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ফ্রান্স প্রবাসী। বড় ছেলে মমতাজ আহমেদ মতি ও মেজো ছেলে ইমতিয়াজ আলী সহ দুই মেয়ে রানু ও রোজি ফ্রান্সে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত৷ আর ছোট ছেলে বাবর আলী রজ্জব দেশেই থাকেন৷ তিন বছর পূর্বে আব্দুল আজিজ মিয়া মারা গেলে মমতাজ বেগমের উপর চালু হয় নির্দয় হৃদয়বিদারক নানারকম নির্যাতন। মমতাজ বেগমের ছোট ছেলে রজ্জব তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রুপালি আবাসিক এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করছে। মমতাজ বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার কাছ থেকে ছোট ছেলে রজ্জব মাসে লাখে ১০০০ টাকা করে মোট ১০ লাখে ১০ হাজার টাকা মাসিক খরচ দিবে বলেন নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়, আমি ডিপিএস ভেঙে এই টাকাগুলো ওকে দেই পরবর্তীতে আমি আমার ভরণপোষণের জন্য উক্ত টাকা চাইলে আমার উপর অমানুষিক ও অমানবিক নির্যাতন চালায় রজ্জব। লোকলজ্জার ভয়ে অনেক দিন আমি চুপ থেকেছি কিন্তু শেষমেশ আমি না পেরে থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। অপরদিকে আমার ছোট মেয়ে ফাহিমা আক্তার রোজী আমার কাছ থেকে জায়গা কিনার কথা বলে ১৩ লক্ষ টাকা নেয়, তার কাছেও পাওনা টাকা চাইলে সে আমাকে প্রায় সে গলাচেপে ধরে এবং নির্মম নির্যাতন করে। আমি পঞ্চায়েতি ভাবে একবার শালিস বসালেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা পাইনি৷ বর্তমানে আমি আমার বড় ছেলের বাসায় থাকছি আমাকে আমার ছোট ছেলে রজ্জব কোন ভরণপোষণের টাকা-পয়সা দিচ্ছে না এমনকি আমার পাওনা টাকা ও আত্মসাৎ করেছে৷ আমি জীবনের শেষ সময়ে এসে বহু কষ্টে দিনযাপন করছি প্রতি মাসে আমার ১৫ হাজার টাকার ওষুধ লাগে এছাড়াও আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমার গর্ভের সন্তান আমাকে অর্থ সম্পদের লোভে প্রায়শই মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায় যা মেনে নিতে কষ্টলাগে। এর মধ্যে আমাকে বাবর মাসখানেক আগে পায়ে শিকল দিয়ে বেধে নির্যাতন করে টয়লেটে আটকে রাখে পরে রাতে গোপনে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিকল বাঁধা অবস্থায় ঢাকা শ্যামলী এলাকায় অবস্থিত সেফ হাউস নামে একটি রিহ্যাব সেন্টারে পাগল সাজিয়ে রেখে আসে, পরে আমার বড় ছেলে প্রবাসে থেকেই আমাকে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

এই বিষয়ে মমতাজ বেগমের ছোট ছেলে রজ্জবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মাকে আমি নির্যাতন করেছি না কি করেছি তা আমি বুঝবো, তাকে তো শুধু পাগলামির জন্য পিটিয়েছি প্রয়োজন হলে আবারো মেরে পাগলা গারদে পাঠাবো। পুলিশ আর সাংবাদিক আমার কোন লো.. ছিঁড়বে তা আমার জানা আছে।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

মাকে পাগল সাজিয়ে প্রেরণ করলো রিহ্যাবে, বড় ছেলে করলো উদ্ধার

আপডেট সময় : ১১:১৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

বন্দর প্রতিনিধি ঃ    নারায়ণগঞ্জ বন্দর ২১ নং ওয়ার্ডের ছালেহনগর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ তোতা মিয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ফ্রান্স প্রবাসী। বড় ছেলে মমতাজ আহমেদ মতি ও মেজো ছেলে ইমতিয়াজ আলী সহ দুই মেয়ে রানু ও রোজি ফ্রান্সে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত৷ আর ছোট ছেলে বাবর আলী রজ্জব দেশেই থাকেন৷ তিন বছর পূর্বে আব্দুল আজিজ মিয়া মারা গেলে মমতাজ বেগমের উপর চালু হয় নির্দয় হৃদয়বিদারক নানারকম নির্যাতন। মমতাজ বেগমের ছোট ছেলে রজ্জব তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রুপালি আবাসিক এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করছে। মমতাজ বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার কাছ থেকে ছোট ছেলে রজ্জব মাসে লাখে ১০০০ টাকা করে মোট ১০ লাখে ১০ হাজার টাকা মাসিক খরচ দিবে বলেন নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়, আমি ডিপিএস ভেঙে এই টাকাগুলো ওকে দেই পরবর্তীতে আমি আমার ভরণপোষণের জন্য উক্ত টাকা চাইলে আমার উপর অমানুষিক ও অমানবিক নির্যাতন চালায় রজ্জব। লোকলজ্জার ভয়ে অনেক দিন আমি চুপ থেকেছি কিন্তু শেষমেশ আমি না পেরে থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। অপরদিকে আমার ছোট মেয়ে ফাহিমা আক্তার রোজী আমার কাছ থেকে জায়গা কিনার কথা বলে ১৩ লক্ষ টাকা নেয়, তার কাছেও পাওনা টাকা চাইলে সে আমাকে প্রায় সে গলাচেপে ধরে এবং নির্মম নির্যাতন করে। আমি পঞ্চায়েতি ভাবে একবার শালিস বসালেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা পাইনি৷ বর্তমানে আমি আমার বড় ছেলের বাসায় থাকছি আমাকে আমার ছোট ছেলে রজ্জব কোন ভরণপোষণের টাকা-পয়সা দিচ্ছে না এমনকি আমার পাওনা টাকা ও আত্মসাৎ করেছে৷ আমি জীবনের শেষ সময়ে এসে বহু কষ্টে দিনযাপন করছি প্রতি মাসে আমার ১৫ হাজার টাকার ওষুধ লাগে এছাড়াও আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমার গর্ভের সন্তান আমাকে অর্থ সম্পদের লোভে প্রায়শই মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায় যা মেনে নিতে কষ্টলাগে। এর মধ্যে আমাকে বাবর মাসখানেক আগে পায়ে শিকল দিয়ে বেধে নির্যাতন করে টয়লেটে আটকে রাখে পরে রাতে গোপনে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিকল বাঁধা অবস্থায় ঢাকা শ্যামলী এলাকায় অবস্থিত সেফ হাউস নামে একটি রিহ্যাব সেন্টারে পাগল সাজিয়ে রেখে আসে, পরে আমার বড় ছেলে প্রবাসে থেকেই আমাকে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

এই বিষয়ে মমতাজ বেগমের ছোট ছেলে রজ্জবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মাকে আমি নির্যাতন করেছি না কি করেছি তা আমি বুঝবো, তাকে তো শুধু পাগলামির জন্য পিটিয়েছি প্রয়োজন হলে আবারো মেরে পাগলা গারদে পাঠাবো। পুলিশ আর সাংবাদিক আমার কোন লো.. ছিঁড়বে তা আমার জানা আছে।