নারায়ণগঞ্জ ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দখলে মৃত্যু কংস নদীর

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : কংস নদী। এযেন রূপকথার গল্প। যে নদী দিয়ে চলত জাহাজ, ধান, পাট বোঝাই সারি সারি পালের নৌকা। জেলেরা ধরত মাছ। গোসল ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা হত পানি। কোথায় সেই নদী। নতুন প্রজন্মের কাছে নদীর বৈচিত্র্যময় রূপকথার গল্পের মত। কারণ, নদীর কোন অস্তিত্বই নেই। অথচ কাগজ কলমে আর মানচিত্রে এখনো কংস নদী বিদ্যমান।
কোথায় কংস নদী ঃ- স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ লোকদের দেয়া তথ্য ও মানচিত্র অনুযায়ী কংস নদীর শুরু পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো গেইটের উত্তরে আজিবপুর হয়ে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মিজমিজির ভেতর দিয়ে ফতুল্লা হয়ে পশ্চিমে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে মিশেছে। আনুমানিক ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬০ থেকে ৭০ ফুট প্রশস্থ এই নদীর প্রাণ ছিল পূর্ব-পশ্চিমের দুইটি মুখ। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে কংসের সঙ্গে নয়টি শাখা খাল, ২১০ টি আউটলেক ও দশটি নিস্কাশন খাল যুক্ত ছিল। এসব খালের দৈর্ঘ্য ছিল মোট ১৮৬ কিলোমিটার। খরা মৌসুমে আবাদি জমিতে পানি সেচ দিতে ও বর্ষায় পানি নিস্কাশন করতে সরকারিভাবে খাল গুলো খনন করা হয়। তথ্য মতে, ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগে তুরার কাছে গারো পাহাড় থেকে এ নদীর উৎপত্তি। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর, নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পূর্বধলা ও দুর্গাপুর থানা হয়ে নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জে মিলিত হয়। এছাড়াও নদীটি রাজশাহী দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলা অতিক্রম করে। এই নদী থেকে পাওয়া যায় লাল বালু ও নুড়ি পাথর।
কংস নদীর নৈপণ্য ঃ- একসময় এই নদী দিয়ে নৌকায় চড়ে লোকজন ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার, মিজমিজি আব্দুল আলি পুল বাজার ও ফতুল্লার পাগলা বাজারে আসা যাওয়া করত। ঢাকায় যাওয়ার নৌপথও ছিল এই নদী। দূরের ব্যবসায়ীরা পালের নৌকায় করে ধান,পাট ও বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসত বাজারে। অত্র অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষি ফসলের সেচ সুবিধার প্রাণ কেন্দ্র ছিল নদীটি। স্থানীয় জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। গোসল ও রান্নাসহ প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হত নদীর পানি। দেশের অন্যান্য জেলায় নদীটি প্রবাহমান থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার অংশ অদৃশ্য হয়ে পড়েছে।
কংস নদীর মৃত্যু ঃ- সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ষাটের দশকে ডিএনডি বাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রথমে কংস নদীর দুইটি মুখ আটকে দেওয়া হয়। নদীটির বুড়িগঙ্গা ও শীলক্ষ্যার সংযোগ হিসেবে মূল প্রবাহ বন্ধ করে পানি নিস্কাশনের জন্য পাইপ বসানো হয়। তখন থেকেই কংসের নাব্যতা হারাতে থাকে। বাড়তে থাকে ডিএনডি এলাকায় বসতীর সংখ্যা। বেদখল হতে থাকে কংসের সঙ্গে যুক্ত খালগুলো। নদীর প্রতি নজর পড়ে প্রভাবশালী মহলের। তারা শুরু করে নদী দখলের প্রতিযোগীতা। দখলদারদের আগ্রাসনে আজ নদীটির বিলুপ্তি ঘটে। নদী ভরাট করে গড়ে তুলা হয় বহুতল ভবন, মিলকারখানা, আবাসন, দোকানপাটসহ নানা ধরণের স্থাপনা। ফলে বাস্তবতা দেখে কল্পনাও করা যাবেনা এটা একসময় নদী ছিল। দখল ভারাটেই জীবননাশ হয় নদীটির।
কংসের মৃত্যুর প্রতিফল ঃ- কংস নদী অস্তিত্বহীন হওয়ায় ডিএনডি এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আধুনিক উন্নয়নের ছোঁয়াতে রাস্তা ও ড্রেন আগের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু করায় বাসাবাড়ি গুলো পড়ে গেছে নিচে। এতে দৈনিন্দ ব্যবহারের পানি সরতে না পেরে সারাবছরই জমে থাকে। ময়লা আবর্জনা যুক্ত দুর্গন্ধ পানিতে অসংখ্য বাড়ি বসবাসের অযোগ্য। নিরুপায় হয়ে এসব বাড়িতে বাস করছে লোকজন। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগ ব্যধিতে। পানি বন্দি থেকে মুক্তি পেতে হলে রাস্তা ও ড্রেনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাসা বাড়ি উঁচু করার বিকল্প নেই বলে অভিমত স্থানীয় জনপ্রতিনধিদের। ডিএনডির পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করা হলেও আবাসন উঁচু না করলে নিন্ম এলাকার বাসিন্দারা পানি বন্দি থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিজ্ঞ মহল।
স্থানীয়দের আকুতি ঃ- ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ চলমান। ইতোমধ্যে বেদখলকৃত বহু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। কংস নদীকে দখল মুক্তের আওতায় আনার আকুতি স্থানীয়দের। মিজমিজি পাইনাদীর বাসিন্দা মানবাধিকার কর্মী কবি ইয়াকুব কামাল বলেন, কংসের আগের রূপ ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সরকার চাইলে নদী রূপে আনা অসম্ভব কিছু না। এখনো নদীর যে রেখা রয়েছে তা খনন ও দুই পাশের কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্তত ২০ থেকে ২৫ ফুট প্রশস্থ করার উদ্যোগ নিলে জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে কার্যক্রর ভূমিকা রাখবে কংস নদী।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ঃ- কংস নদী দখল মুক্ত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। সর্বশেষ গত চারদলীয় জোট সরকার আমলের মাঝামাঝি সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে বাঁধার মুখে ফিরে আসতে হয়। এখন এই নদী দখল ও অস্তিত্বহীন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাই অফিসিয়াল কোন বক্তব্য দিতে রাজি নয়।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা

দখলে মৃত্যু কংস নদীর

আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : কংস নদী। এযেন রূপকথার গল্প। যে নদী দিয়ে চলত জাহাজ, ধান, পাট বোঝাই সারি সারি পালের নৌকা। জেলেরা ধরত মাছ। গোসল ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা হত পানি। কোথায় সেই নদী। নতুন প্রজন্মের কাছে নদীর বৈচিত্র্যময় রূপকথার গল্পের মত। কারণ, নদীর কোন অস্তিত্বই নেই। অথচ কাগজ কলমে আর মানচিত্রে এখনো কংস নদী বিদ্যমান।
কোথায় কংস নদী ঃ- স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ লোকদের দেয়া তথ্য ও মানচিত্র অনুযায়ী কংস নদীর শুরু পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো গেইটের উত্তরে আজিবপুর হয়ে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মিজমিজির ভেতর দিয়ে ফতুল্লা হয়ে পশ্চিমে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে মিশেছে। আনুমানিক ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬০ থেকে ৭০ ফুট প্রশস্থ এই নদীর প্রাণ ছিল পূর্ব-পশ্চিমের দুইটি মুখ। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে কংসের সঙ্গে নয়টি শাখা খাল, ২১০ টি আউটলেক ও দশটি নিস্কাশন খাল যুক্ত ছিল। এসব খালের দৈর্ঘ্য ছিল মোট ১৮৬ কিলোমিটার। খরা মৌসুমে আবাদি জমিতে পানি সেচ দিতে ও বর্ষায় পানি নিস্কাশন করতে সরকারিভাবে খাল গুলো খনন করা হয়। তথ্য মতে, ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগে তুরার কাছে গারো পাহাড় থেকে এ নদীর উৎপত্তি। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর, নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পূর্বধলা ও দুর্গাপুর থানা হয়ে নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জে মিলিত হয়। এছাড়াও নদীটি রাজশাহী দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলা অতিক্রম করে। এই নদী থেকে পাওয়া যায় লাল বালু ও নুড়ি পাথর।
কংস নদীর নৈপণ্য ঃ- একসময় এই নদী দিয়ে নৌকায় চড়ে লোকজন ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার, মিজমিজি আব্দুল আলি পুল বাজার ও ফতুল্লার পাগলা বাজারে আসা যাওয়া করত। ঢাকায় যাওয়ার নৌপথও ছিল এই নদী। দূরের ব্যবসায়ীরা পালের নৌকায় করে ধান,পাট ও বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসত বাজারে। অত্র অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষি ফসলের সেচ সুবিধার প্রাণ কেন্দ্র ছিল নদীটি। স্থানীয় জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। গোসল ও রান্নাসহ প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হত নদীর পানি। দেশের অন্যান্য জেলায় নদীটি প্রবাহমান থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার অংশ অদৃশ্য হয়ে পড়েছে।
কংস নদীর মৃত্যু ঃ- সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ষাটের দশকে ডিএনডি বাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রথমে কংস নদীর দুইটি মুখ আটকে দেওয়া হয়। নদীটির বুড়িগঙ্গা ও শীলক্ষ্যার সংযোগ হিসেবে মূল প্রবাহ বন্ধ করে পানি নিস্কাশনের জন্য পাইপ বসানো হয়। তখন থেকেই কংসের নাব্যতা হারাতে থাকে। বাড়তে থাকে ডিএনডি এলাকায় বসতীর সংখ্যা। বেদখল হতে থাকে কংসের সঙ্গে যুক্ত খালগুলো। নদীর প্রতি নজর পড়ে প্রভাবশালী মহলের। তারা শুরু করে নদী দখলের প্রতিযোগীতা। দখলদারদের আগ্রাসনে আজ নদীটির বিলুপ্তি ঘটে। নদী ভরাট করে গড়ে তুলা হয় বহুতল ভবন, মিলকারখানা, আবাসন, দোকানপাটসহ নানা ধরণের স্থাপনা। ফলে বাস্তবতা দেখে কল্পনাও করা যাবেনা এটা একসময় নদী ছিল। দখল ভারাটেই জীবননাশ হয় নদীটির।
কংসের মৃত্যুর প্রতিফল ঃ- কংস নদী অস্তিত্বহীন হওয়ায় ডিএনডি এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আধুনিক উন্নয়নের ছোঁয়াতে রাস্তা ও ড্রেন আগের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু করায় বাসাবাড়ি গুলো পড়ে গেছে নিচে। এতে দৈনিন্দ ব্যবহারের পানি সরতে না পেরে সারাবছরই জমে থাকে। ময়লা আবর্জনা যুক্ত দুর্গন্ধ পানিতে অসংখ্য বাড়ি বসবাসের অযোগ্য। নিরুপায় হয়ে এসব বাড়িতে বাস করছে লোকজন। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগ ব্যধিতে। পানি বন্দি থেকে মুক্তি পেতে হলে রাস্তা ও ড্রেনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাসা বাড়ি উঁচু করার বিকল্প নেই বলে অভিমত স্থানীয় জনপ্রতিনধিদের। ডিএনডির পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করা হলেও আবাসন উঁচু না করলে নিন্ম এলাকার বাসিন্দারা পানি বন্দি থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিজ্ঞ মহল।
স্থানীয়দের আকুতি ঃ- ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ চলমান। ইতোমধ্যে বেদখলকৃত বহু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। কংস নদীকে দখল মুক্তের আওতায় আনার আকুতি স্থানীয়দের। মিজমিজি পাইনাদীর বাসিন্দা মানবাধিকার কর্মী কবি ইয়াকুব কামাল বলেন, কংসের আগের রূপ ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সরকার চাইলে নদী রূপে আনা অসম্ভব কিছু না। এখনো নদীর যে রেখা রয়েছে তা খনন ও দুই পাশের কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্তত ২০ থেকে ২৫ ফুট প্রশস্থ করার উদ্যোগ নিলে জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে কার্যক্রর ভূমিকা রাখবে কংস নদী।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ঃ- কংস নদী দখল মুক্ত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। সর্বশেষ গত চারদলীয় জোট সরকার আমলের মাঝামাঝি সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে বাঁধার মুখে ফিরে আসতে হয়। এখন এই নদী দখল ও অস্তিত্বহীন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাই অফিসিয়াল কোন বক্তব্য দিতে রাজি নয়।