নারায়ণগঞ্জ ০৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টার নজরুল ইসলামের রিয়াদ গালফ টুলেডো রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ৬ দিনেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে ব্যাচ ৯৫-৯৭ এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালরা দিচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন! রিয়াদে হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু সংবর্ধিত ইমারত নীতিমালা মানেনি স্বপ্ন বিলাস

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ালেন বিএনপির তিন প্রার্থী

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

শহর প্রতিনিধি : অবশেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। মেয়র পদে তারা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) জমা দেয়ার শেষ দিনে তারা মনোনয়ন পত্র জমা দেননি।
যদিও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার ৫দিনের মাথায় ৫ ডিসেম্বর এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এটিএম কামাল মনোনয়ন পত্র কিনে নগরীতে বিএনপি শিবিরসহ সর্বত্র আলোচনার জন্ম দেন। অনেকেই ধারণা করে নিয়েছিলেন, তাদের দুইজনের মধ্যে একটা সমঝোতা হবে এবং শেষ পর্যন্ত সাখাওয়াত হোসেন খান নির্বাচন করবেন।
এদিকে হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকারের নাম। নগরীতে চাউর হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচন করবেন। ১১ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজ-খবরও নেন তিনি। কিন্তু আকষ্মিকভাবে ১২ ডিসেম্বর সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র কেনার পর বাতাস ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে তাকে। গুঞ্জন শুরু হয় গিয়াস উদ্দিন হয়তো দলের মৌন সমর্থন পেয়ে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন এবং মেয়র পদে নির্বাচন করবেন। কিন্তু পাল্টা গুঞ্জন শুরু হয় দলের নয়, নারায়ণগঞ্জের একটি মহলের ইন্ধনে তিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এমন আলোচনা যখন ঢালপালা ছড়াচ্ছিল ঠিক তখনি ১৩ ডিসেম্বর তৈমুর আলম খন্দকার নিজে গিয়ে মনোনয়ন পত্র কিনেন। আলোচনা জমে উঠে বিএনপি শিবিরে। যার বাতাস বাইতে শুরু করে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী আইভী শিবিরেও। নানা অংক, নানা হিসেব। কে হচ্ছেন প্রার্থী, গিয়াস, তৈমুর নাকি সাখাওয়াত। কে হলে নৌকার প্রার্থীর জন্য ভালো হবে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সেই আলোচনা স্থান পায়। কেউ বলে বিএনপি মৌন সমর্থনে নৌকার বিপরীতে গিয়াস উদ্দিন যোগ্য প্রার্থী। আবার কেউ বলে তৈমুর আলম খন্দকার যোগ্যা।
শেষ পর্যন্ত সব আলোচনা ও গুঞ্জনের পরিসমাপ্তি ঘটে বুধবার (১৫ ডিসেম্ব) মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিনে। এতে শুধু মাত্র তৈমুর আলম খন্দকার মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে ২৭ ডিসেম্বর বিএনপি ঘরানার একক প্রার্থী হচ্ছেন তৈমুর আলম খন্দকার। আর তা যদি হয়, তাহলে নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলমের হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে।
প্রসঙ্গত: তফসিল অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়। ২০ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই। ২৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ২৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ১৬ জানুয়ারি ভোটযুদ্ধ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ালেন বিএনপির তিন প্রার্থী

আপডেট সময় : ০১:৩৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

শহর প্রতিনিধি : অবশেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। মেয়র পদে তারা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) জমা দেয়ার শেষ দিনে তারা মনোনয়ন পত্র জমা দেননি।
যদিও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার ৫দিনের মাথায় ৫ ডিসেম্বর এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এটিএম কামাল মনোনয়ন পত্র কিনে নগরীতে বিএনপি শিবিরসহ সর্বত্র আলোচনার জন্ম দেন। অনেকেই ধারণা করে নিয়েছিলেন, তাদের দুইজনের মধ্যে একটা সমঝোতা হবে এবং শেষ পর্যন্ত সাখাওয়াত হোসেন খান নির্বাচন করবেন।
এদিকে হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকারের নাম। নগরীতে চাউর হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচন করবেন। ১১ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজ-খবরও নেন তিনি। কিন্তু আকষ্মিকভাবে ১২ ডিসেম্বর সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র কেনার পর বাতাস ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে তাকে। গুঞ্জন শুরু হয় গিয়াস উদ্দিন হয়তো দলের মৌন সমর্থন পেয়ে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন এবং মেয়র পদে নির্বাচন করবেন। কিন্তু পাল্টা গুঞ্জন শুরু হয় দলের নয়, নারায়ণগঞ্জের একটি মহলের ইন্ধনে তিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এমন আলোচনা যখন ঢালপালা ছড়াচ্ছিল ঠিক তখনি ১৩ ডিসেম্বর তৈমুর আলম খন্দকার নিজে গিয়ে মনোনয়ন পত্র কিনেন। আলোচনা জমে উঠে বিএনপি শিবিরে। যার বাতাস বাইতে শুরু করে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী আইভী শিবিরেও। নানা অংক, নানা হিসেব। কে হচ্ছেন প্রার্থী, গিয়াস, তৈমুর নাকি সাখাওয়াত। কে হলে নৌকার প্রার্থীর জন্য ভালো হবে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সেই আলোচনা স্থান পায়। কেউ বলে বিএনপি মৌন সমর্থনে নৌকার বিপরীতে গিয়াস উদ্দিন যোগ্য প্রার্থী। আবার কেউ বলে তৈমুর আলম খন্দকার যোগ্যা।
শেষ পর্যন্ত সব আলোচনা ও গুঞ্জনের পরিসমাপ্তি ঘটে বুধবার (১৫ ডিসেম্ব) মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিনে। এতে শুধু মাত্র তৈমুর আলম খন্দকার মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে ২৭ ডিসেম্বর বিএনপি ঘরানার একক প্রার্থী হচ্ছেন তৈমুর আলম খন্দকার। আর তা যদি হয়, তাহলে নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলমের হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে।
প্রসঙ্গত: তফসিল অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়। ২০ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই। ২৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ২৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ১৬ জানুয়ারি ভোটযুদ্ধ।