নারায়ণগঞ্জ ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টার নজরুল ইসলামের রিয়াদ গালফ টুলেডো রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ৬ দিনেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে ব্যাচ ৯৫-৯৭ এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালরা দিচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন!

৩৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা হারে ফের নগদ সহায়তা দেবে সরকার।

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটরশ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্তদের আবারও নগদ অর্থ সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। এক লাখ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার পাঁচ হাজার টাকা এবং অন্য পেশার প্রায় ৩৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আড়াই হাজার টাকা হারে ফের নগদ সহায়তা দেবে সরকার।

কৃষক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরায় নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, কৃষক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে উপকারভোগীদের হাতে এসব নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

প্রেস সচিব জানান, ক্ষতিগ্রস্ত করোনা ও সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা শুরু করেছে সরকার। নতুন কৃষকদের পাশাপাশি সরকারের অর্থ বিভাগে সংরক্ষিত ডাটাবেজ অনুযায়ী বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪ এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটরশ্রমিকসহ অন্য পেশায় নিয়োজিত ৩৫ লাখ উপকারভোগী পরিবারকে পুনরায় আড়াই হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ বাবদ আনুমানিক ৮৮০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারের।

এ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীনে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকবেলায় তহবিলে বরাদ্দ অর্থ থেকে নির্বাহ করা হবে। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে অর্থ বিভাগের ডাটাবেজে সংরক্ষিত তালিকায় অন্তভুক্তদের সরাসরি অতি অল্প সময়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

অন্যদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে বিগত ৪ এপ্রিল সংঘটিত ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলায় ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় এক লাখ কৃষক পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা (নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ) প্রণয়নের কাজ চলমান। করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর ফলে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ বাবদ আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারের। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রণিতব্য তালিকাটি চূড়ান্ত হলে প্রয়োজনীয় অর্থেও পরিমাণ কম/বেশি হতে পারে।

এর আগে বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরেও মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে যাচাই-বাচাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়দা দেওয়া হয়।

বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ‘মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১২শ ৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল সরকার। বর্ণিত কর্মসূচির আওতায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু ব্যক্তি) পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০২০ তারিখে উদ্বোধন করেন।

সে সময় কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের/স্থানীয় প্রশাসন সংগৃহীত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সৃষ্ট সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে তিনটি পর্বে অর্থ বিভাগে মোট ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ১৫৪ জনের তালিকা পাঠায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে তথ্য পাওয়ার পর প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অর্থ বিভাগে সংরক্ষিত বিভিন্ন তর্থ ভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মোবাইল সিম নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সাহায্য নেওয়া হয়।

পরবর্তীসময়ে বহুমুখী যাচাইয়ের ফলে অন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত, ভিন্ন পেশা উল্লেখ ৫ লাখ টাকার অধিক সঞ্চয়পত্রের মালিক, সরকারের পেনশনভোগী, একই ব্যক্তির তথ্য একাধিকবার অন্তর্ভুক্তি, একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট/ভুল রাউটিং নম্বর ইত্যাদি অসঙ্গতি থাকায় ১৪ লাখ, ৩২ হাজার ৮০১ জনকে তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যোগ্য বিবেচিত ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৩ জনের অনুকূলে মাথাপিছু ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোট ৮৭৯ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা সহায়তা দেয় সরকার।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

৩৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা হারে ফের নগদ সহায়তা দেবে সরকার।

আপডেট সময় : ১০:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটরশ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্তদের আবারও নগদ অর্থ সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। এক লাখ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার পাঁচ হাজার টাকা এবং অন্য পেশার প্রায় ৩৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আড়াই হাজার টাকা হারে ফের নগদ সহায়তা দেবে সরকার।

কৃষক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরায় নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, কৃষক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে উপকারভোগীদের হাতে এসব নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

প্রেস সচিব জানান, ক্ষতিগ্রস্ত করোনা ও সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা শুরু করেছে সরকার। নতুন কৃষকদের পাশাপাশি সরকারের অর্থ বিভাগে সংরক্ষিত ডাটাবেজ অনুযায়ী বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪ এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটরশ্রমিকসহ অন্য পেশায় নিয়োজিত ৩৫ লাখ উপকারভোগী পরিবারকে পুনরায় আড়াই হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ বাবদ আনুমানিক ৮৮০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারের।

এ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীনে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকবেলায় তহবিলে বরাদ্দ অর্থ থেকে নির্বাহ করা হবে। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে অর্থ বিভাগের ডাটাবেজে সংরক্ষিত তালিকায় অন্তভুক্তদের সরাসরি অতি অল্প সময়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

অন্যদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে বিগত ৪ এপ্রিল সংঘটিত ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলায় ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় এক লাখ কৃষক পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা (নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ) প্রণয়নের কাজ চলমান। করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর ফলে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ বাবদ আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারের। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রণিতব্য তালিকাটি চূড়ান্ত হলে প্রয়োজনীয় অর্থেও পরিমাণ কম/বেশি হতে পারে।

এর আগে বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরেও মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে যাচাই-বাচাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়দা দেওয়া হয়।

বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ‘মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১২শ ৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল সরকার। বর্ণিত কর্মসূচির আওতায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু ব্যক্তি) পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০২০ তারিখে উদ্বোধন করেন।

সে সময় কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের/স্থানীয় প্রশাসন সংগৃহীত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সৃষ্ট সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে তিনটি পর্বে অর্থ বিভাগে মোট ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ১৫৪ জনের তালিকা পাঠায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে তথ্য পাওয়ার পর প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অর্থ বিভাগে সংরক্ষিত বিভিন্ন তর্থ ভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মোবাইল সিম নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সাহায্য নেওয়া হয়।

পরবর্তীসময়ে বহুমুখী যাচাইয়ের ফলে অন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত, ভিন্ন পেশা উল্লেখ ৫ লাখ টাকার অধিক সঞ্চয়পত্রের মালিক, সরকারের পেনশনভোগী, একই ব্যক্তির তথ্য একাধিকবার অন্তর্ভুক্তি, একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট/ভুল রাউটিং নম্বর ইত্যাদি অসঙ্গতি থাকায় ১৪ লাখ, ৩২ হাজার ৮০১ জনকে তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যোগ্য বিবেচিত ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৩ জনের অনুকূলে মাথাপিছু ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোট ৮৭৯ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা সহায়তা দেয় সরকার।