সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসানের সহযোগীদের অবৈধ গ্যাস সংযোগে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে আটি হাউজিং এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাউন্সিলর হাসানের সহযোগীরা এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে অবৈধ ভাবে লাগানো ১০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে অবৈধ সংযোগদানকারী কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানায় অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাগণ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ এর আওতায় ১০টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন (টিএন্ডডি) নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপনন অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী-প্রকৌশলী হাসান শাহরিয়ার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, পেশকার কসিক উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানসহ প্রমূখ।
স্থানীয়রা জানায়, নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসানের আত্মীয় শাহরিয়ার তপন ও শিষ্য মোস্তফা মিয়া অবৈধভাবে এলাকায় শতাধিক গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা রাতের আধারে চুরি করে অবৈধ ভাবে গ্যাসের সংযোগ দেয়। তিতাস গ্যাসের কোন কর্মকর্তাকে না জানিয়ে তারা গোপনে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এসব গ্যাস সংযোগ দেয়। এ ছাড়াও হাউজিং এলাকায় ভবন নির্মাণ করার সামগ্রী ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ইত্যাদি বাধ্যতামূলক ভাবে ওই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে নিতে হয়। গত দুই মাস ধরে এলাকায় প্রায় ৪/৫টি সড়ক ও ড্রেন নির্মানের কাজ চলছে। রাস্তার পাশে গ্যাস লাইন থেকে বিভিন্ন বাড়ি মালিক তাদের জমিতে গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য তপন ও মোস্তফাকে প্রতি সংযোগ থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা দিতে হচ্ছে। এভাবে প্রায় শতাধীক অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয় চক্রটি।