প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত ঈদগাহের বদলে মসজিদ গুলোয় অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের বাসা থেকে ওজু করে, মাস্ক পরে ও জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে মসজিদে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
২২ মে, শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে নগরবাসীকে মোট ১৪ নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুসল্লিদের উপস্থিতি বেশি হলে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রেই পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে বলা হয়েছে।
পুলিশের নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
১. ঈদের নামাজের জামাতের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
২. জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রত্যেকে নিজের জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে যাবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৩. মসজিদের প্রবেশদ্বারে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪. মসজিদের ওজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজের বাসস্থান থেকে ওজু করে মসজিদে যেতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৫. ঈদের নামাজের জামাতে মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে।
৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
৭. এক কাতার করে ফাঁকা রেখে কাতারবদ্ধ হতে হবে।
৮. জামায়াত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো যাবে না।
৯. মসজিদে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুবিধার্থে পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১০. আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাওয়া যাবে না।
১১. ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে না গিয়ে নিজ ঘরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে হবে।
১২. ঈদ উদ্যাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন, তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের প্রধান ফটকে অটোলক ব্যবহার এবং বাসা ত্যাগের আগে ঘরের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে।
১৩. মালিকপক্ষকে নিজ উদ্যোগে মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা জোরদার এবং স্থানীয় থানা/ফাঁড়ির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।
১৪. ফাঁকা বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনের বাসায় তা রেখে যেতে হবে।