নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে মাদকাসক্ত ভগ্নিপতি আব্বাস আলি এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সিআইখোলা বউবাজার এলাকায় আনোয়ারের সাত তলা ভবনের ছয় তলার ফ্যাট বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বেলা আড়াইটা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতরা হলো-নাজনিন আক্তার(২৮) তার দুই মেয়ে নূজরাত (৮) ও খাদিজা(২)। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সুমাইয়া(১৫)। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সুমাইয়া নিহত নাজনিন আক্তারের বড় বোনের মেয়ে। তার পিতার নাম আব্বাস আলী। প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহত সুমাইয়া পুলিশের কাছে জবান বন্দি দিয়েছে, আমার বাবাই আমাকে মারার চেষ্টা করেছে। বাবা খালামনি আর তার দুই মেয়েকে মেরেছে।

নিহতের স্বামীর নাম আব্দুস সুবহান সুমন। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সুমিলপাড়া এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

সুমন জানায়, রাতের টিউটি শেষ করে সকাল ১০ টায় বাসায় ফিরে দেখি ফ্যাটের দরজা খোলা। ভিতরে স্ত্রী ও দুই মেয়ের রক্তাক্ত লাশ। সুমাইয়া আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখন প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া, আতœীয়স্বজন ও পুলিশকে খবর দেই।

ঘটনার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ ভবনের প্রধান গেইট বন্ধ করে দেন। ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি গণমাধ্যম কর্মীদের।

দুপুর ২ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হরুন আর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মনিরুল ইসলাম ও মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী(ক সার্কেল)। এসময় সিআইডির ফরেন্সিক বিভাকের কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে আব্বাস। নিজের স্ত্রীর সাথে তার বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে তার স্ত্রী মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে ছোট বোন নাজনিন আক্তারের বাসায় ছলে যায়। বোনের বাসা থেকে সকালে গার্মেন্টসে চলে যাওয়ার পর আব্বাস শ্যালিকার বাসায় এসে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে শ্যালিকা ও তার দুই মেয়েখে হত্যা করে। নিজের মেয়ে সুমাইকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক আব্বাসকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান,এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮

সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা

আপডেট সময় : ১০:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে মাদকাসক্ত ভগ্নিপতি আব্বাস আলি এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সিআইখোলা বউবাজার এলাকায় আনোয়ারের সাত তলা ভবনের ছয় তলার ফ্যাট বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বেলা আড়াইটা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতরা হলো-নাজনিন আক্তার(২৮) তার দুই মেয়ে নূজরাত (৮) ও খাদিজা(২)। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সুমাইয়া(১৫)। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সুমাইয়া নিহত নাজনিন আক্তারের বড় বোনের মেয়ে। তার পিতার নাম আব্বাস আলী। প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহত সুমাইয়া পুলিশের কাছে জবান বন্দি দিয়েছে, আমার বাবাই আমাকে মারার চেষ্টা করেছে। বাবা খালামনি আর তার দুই মেয়েকে মেরেছে।

নিহতের স্বামীর নাম আব্দুস সুবহান সুমন। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সুমিলপাড়া এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

সুমন জানায়, রাতের টিউটি শেষ করে সকাল ১০ টায় বাসায় ফিরে দেখি ফ্যাটের দরজা খোলা। ভিতরে স্ত্রী ও দুই মেয়ের রক্তাক্ত লাশ। সুমাইয়া আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখন প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া, আতœীয়স্বজন ও পুলিশকে খবর দেই।

ঘটনার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ ভবনের প্রধান গেইট বন্ধ করে দেন। ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি গণমাধ্যম কর্মীদের।

দুপুর ২ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হরুন আর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মনিরুল ইসলাম ও মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী(ক সার্কেল)। এসময় সিআইডির ফরেন্সিক বিভাকের কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে আব্বাস। নিজের স্ত্রীর সাথে তার বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে তার স্ত্রী মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে ছোট বোন নাজনিন আক্তারের বাসায় ছলে যায়। বোনের বাসা থেকে সকালে গার্মেন্টসে চলে যাওয়ার পর আব্বাস শ্যালিকার বাসায় এসে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে শ্যালিকা ও তার দুই মেয়েখে হত্যা করে। নিজের মেয়ে সুমাইকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক আব্বাসকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান,এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।