নারায়ণগঞ্জ ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

আলোচিত ৭ খুন মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ২ বিচারপতির স্বাক্ষর

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে দেয়া রায়ে স্বার করেছেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে গত বছরের ২২ আগস্ট রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সৈনিক আল আমিনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ডের সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে তারা হলেন- সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু অরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন। এছাড়া নি¤œ আদালতের বিভিন্ন মেয়াদে ৯ জনের সাজাও বহাল রাখেন আদালত।

আলোচিত সাত খুন মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে ওই রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতল্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ৬ টি মৃতদেহ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার একদিন পর নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। মামলায় এজাহার নামীয় ৬ আসামীর মধ্যে ৫ জনকে বাদ দিয়ে নূর হোসেনসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

আলোচিত ৭ খুন মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ২ বিচারপতির স্বাক্ষর

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে দেয়া রায়ে স্বার করেছেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে গত বছরের ২২ আগস্ট রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সৈনিক আল আমিনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ডের সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে তারা হলেন- সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু অরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন। এছাড়া নি¤œ আদালতের বিভিন্ন মেয়াদে ৯ জনের সাজাও বহাল রাখেন আদালত।

আলোচিত সাত খুন মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে ওই রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতল্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ৬ টি মৃতদেহ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার একদিন পর নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। মামলায় এজাহার নামীয় ৬ আসামীর মধ্যে ৫ জনকে বাদ দিয়ে নূর হোসেনসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।