নারায়ণগঞ্জ ০২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামেসহ অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ রাজনীতি না করেও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা আলমগীর

শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকেই বাস্তবায়ন করছেন : আনোয়ার হোসেন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমস্ত লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁর মনে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তাঁকে স্বপরিবারে হত্যা করে। তারা চেয়েছিল জাতির জনকের স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করতে, কিন্তু আল্লাহর রহমতে তাঁরই কন্যা জাননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁরই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটিস্থ যমুনা ওয়েল ডিপো সংলগ্ন বধ্য ভূমিতে অজ্ঞাতনামা শহীদদের স্মরণে,অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পঞ্চবটিস্থ যমুনা ওয়েল ডিপো সংলগ্ন স্থানে মুক্তিযদ্ধের সময় নিহত অজ্ঞাতনামা শহীদের স্বরণে বধ্য ভূমিতে আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এনায়েতনগর ইউনিয়ন শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম ইঞ্জিনিয়ারের সভাপতিতে,¡প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবীন বিনতে শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড.নুরুল হুদা,বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপীনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রতন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো.শরফুদ্দিন,ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে এনায়েতনগর ইউনিয়ন শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সবুজ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদু,এনায়েতনগর ইউপি মেম্বার মো.সালাউদ্দিন,মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ইব্রাহিমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, যারা জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করেছে তারা আজো মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একের পর এক অরাজকতা ও নাশকতা চালাতে তারা তৎপর রয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবীন বিনতে শেখ তার বক্তব্যে বলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন এলাকায় যমুনা ওয়েল সংলগ্ন স্থানে হানাদার বাহিনী, যে অজ্ঞাতনামা শহীদদের ধরে এনে নির্মম হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল,সেই বীর শহীদদের আমাদের মনে রাখতে হবে। তাঁদের সম্মান করতে হবে। এই বধ্য ভূমিটিকে আরো সুন্দর করা হবে। জেলা পরিষদ ও উপজেলার যৌথ প্রচেষ্টা থাকবে এতে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সম্পদ। জাতি তাঁদের কৃতজ্ঞতার সাথে সব সময় স্মরণ করবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি যদি দেখি তাহলে প্রথমেই বলতে হবে ভাষা আন্দোলনের কথা। এরপর ৭০ এর নির্বাচন। বাঙ্গালী জাতির প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারণে মুক্তিযুদ্ধের ডাক। আর বঙ্গবন্ধুর ডাকেই সারা দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বক্তব্যে বলেন ,১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষনের মধ্য দিয়ে,যে স্বাধীনতার স্বপ্ন মানুষ দেখেছিল তা-ই মূলত ২৬ মার্চ বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালিয়েছিল। সে হামলায় অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। বাঙ্গালী জাতিকে মেধা শূন্য করতে হানদাররা ৭১ সালে ১৫ ডিসেম্বর রাতে আত্ম সমর্পণ করার প্রাক্কালে হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল। আলোচনা সভার পর অজ্ঞাতনামা শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর চৈতন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনরে শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি

শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকেই বাস্তবায়ন করছেন : আনোয়ার হোসেন

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমস্ত লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁর মনে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তাঁকে স্বপরিবারে হত্যা করে। তারা চেয়েছিল জাতির জনকের স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করতে, কিন্তু আল্লাহর রহমতে তাঁরই কন্যা জাননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁরই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটিস্থ যমুনা ওয়েল ডিপো সংলগ্ন বধ্য ভূমিতে অজ্ঞাতনামা শহীদদের স্মরণে,অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পঞ্চবটিস্থ যমুনা ওয়েল ডিপো সংলগ্ন স্থানে মুক্তিযদ্ধের সময় নিহত অজ্ঞাতনামা শহীদের স্বরণে বধ্য ভূমিতে আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এনায়েতনগর ইউনিয়ন শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম ইঞ্জিনিয়ারের সভাপতিতে,¡প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবীন বিনতে শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড.নুরুল হুদা,বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপীনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রতন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো.শরফুদ্দিন,ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে এনায়েতনগর ইউনিয়ন শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সবুজ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদু,এনায়েতনগর ইউপি মেম্বার মো.সালাউদ্দিন,মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ইব্রাহিমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, যারা জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করেছে তারা আজো মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একের পর এক অরাজকতা ও নাশকতা চালাতে তারা তৎপর রয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবীন বিনতে শেখ তার বক্তব্যে বলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন এলাকায় যমুনা ওয়েল সংলগ্ন স্থানে হানাদার বাহিনী, যে অজ্ঞাতনামা শহীদদের ধরে এনে নির্মম হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল,সেই বীর শহীদদের আমাদের মনে রাখতে হবে। তাঁদের সম্মান করতে হবে। এই বধ্য ভূমিটিকে আরো সুন্দর করা হবে। জেলা পরিষদ ও উপজেলার যৌথ প্রচেষ্টা থাকবে এতে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সম্পদ। জাতি তাঁদের কৃতজ্ঞতার সাথে সব সময় স্মরণ করবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি যদি দেখি তাহলে প্রথমেই বলতে হবে ভাষা আন্দোলনের কথা। এরপর ৭০ এর নির্বাচন। বাঙ্গালী জাতির প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারণে মুক্তিযুদ্ধের ডাক। আর বঙ্গবন্ধুর ডাকেই সারা দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বক্তব্যে বলেন ,১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষনের মধ্য দিয়ে,যে স্বাধীনতার স্বপ্ন মানুষ দেখেছিল তা-ই মূলত ২৬ মার্চ বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালিয়েছিল। সে হামলায় অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। বাঙ্গালী জাতিকে মেধা শূন্য করতে হানদাররা ৭১ সালে ১৫ ডিসেম্বর রাতে আত্ম সমর্পণ করার প্রাক্কালে হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল। আলোচনা সভার পর অজ্ঞাতনামা শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর চৈতন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনরে শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।