নারায়ণগঞ্জ ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

নিয়মেই কাজ হবে, ইন্ডাষ্ট্রি থাকুক আর শামীম ওসমানের বাড়িই থাকুক : শামীম ওসমান

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ হবে নিয়ম মেনেই। সেনাবাহিনী তার প্রয়োজন অনুসারেই কাজ করবে।

উনারা কাজ করতে যাবেন কাজ হবে নিয়ম অনুসারেই। সেখানে ইন্ডাষ্ট্রি থাকুক আর এমপি শামীম ওসমানের বাড়ি থাকুক । সবাই আইনের ভেতরে, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। কাজের স্বার্থে যদি ৫শ লোকের ক্ষতি হয়, আর ৫০ লাখ লোক লাভবান হয় অবশ্যই সরকার সেটাই করবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ণ কাজের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সানজিদা খানম, এ প্রকল্পের মহাপরিচালক (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মোঃ তৌহিদ হোসেন(পিএসসি), প্রকল্প পরিচালক (২০ ইসিবি) লেঃ কর্ণেল মোঃ রোমিও নওরীণ খান(পিএসসি), এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের ও ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সৈনিকগণ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

এমপি শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি আশা করি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা সিটি করপোরেশন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। যদিও এ মেগা প্রজেক্টে তাদেরই দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু তারা এটা করতে পারেন নাই।

যাই হোক সামনে যে জিনিসটা আছে, মন্ত্রী মহোদয় তাদের সাথে আলোচনা করেছেন, আমিও দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ জানাবো তারা যাতে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হন। আর এলাকার জনগণ হিসেবে, সংসদ হিসেবে এ ব্যাপারে যতো সহযোগিতা লাগে আমি অবশ্যই পাশে থাকবো।

তিনি আরো বলেন, এ প্রজেক্টে সেনাবাহিনীকে দেয়ার জন্য আমার তরফ থেকে একটি অনুরোধ ছিলো। তারা সবচেয়ে ভালো কাজ করেন। আমি আশা করি তা তারা করবেন। মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন এ প্রজেক্ট পরিপূর্ণ করার জন্য যত টাকা লাগে সরকার তা দেবে। আর তা হলে নারায়ণগঞ্জ ঢাকার চেয়েও আধুনিক শহরে পরিণত হবে। এটাই আমার স্বপ্ন।

আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যেতে। একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ হলে দিনে দিনে সারা বাংলাদেশটাই সুন্দর হবে। আমাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি পদক্ষেপ একটি ধাপ আমরা এগিয়ে গেলাম।

তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীর কথা মতো এ প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে দুবছর সময় লাগবে। তারাঁ আমাকে কথা দিয়েছেন দু’বছরের আগেই এ প্রজেক্ট শেষ করবেন। তবে আরেকটি গ্রুপকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রতিনিয়ত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া মানুষের কষ্টটাকে লেখনী ও ফুটেজের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন যে কারণে আমার কথা বলতে সুবিধা হয়েছে।

এ ফান্ড আনতে সুবিধা হয়েছে। তারা আরেকটু ভূমিকা রাখলে এ প্রজেক্টে যদি ১ হাজার টাকা দরকার হয় তা আমরা আনতে পারবো। প্রাথমিক ভাবে এটা ৬৭৮ কোটি টাকার প্রজেক্ট তবে তা আরো বৃদ্ধি পাবে। এটার সাথে সংশ্লিষ্ট করার জন্য এলজিইডি এর মাধ্যমে ফতুল্লা থানায় ১২৫ কোটি টাকার মতো রাস্তাঘাট করার জন্য নিয়ে এসেছি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

নিয়মেই কাজ হবে, ইন্ডাষ্ট্রি থাকুক আর শামীম ওসমানের বাড়িই থাকুক : শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ০৪:১৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ হবে নিয়ম মেনেই। সেনাবাহিনী তার প্রয়োজন অনুসারেই কাজ করবে।

উনারা কাজ করতে যাবেন কাজ হবে নিয়ম অনুসারেই। সেখানে ইন্ডাষ্ট্রি থাকুক আর এমপি শামীম ওসমানের বাড়ি থাকুক । সবাই আইনের ভেতরে, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। কাজের স্বার্থে যদি ৫শ লোকের ক্ষতি হয়, আর ৫০ লাখ লোক লাভবান হয় অবশ্যই সরকার সেটাই করবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ণ কাজের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সানজিদা খানম, এ প্রকল্পের মহাপরিচালক (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মোঃ তৌহিদ হোসেন(পিএসসি), প্রকল্প পরিচালক (২০ ইসিবি) লেঃ কর্ণেল মোঃ রোমিও নওরীণ খান(পিএসসি), এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের ও ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সৈনিকগণ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

এমপি শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি আশা করি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা সিটি করপোরেশন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। যদিও এ মেগা প্রজেক্টে তাদেরই দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু তারা এটা করতে পারেন নাই।

যাই হোক সামনে যে জিনিসটা আছে, মন্ত্রী মহোদয় তাদের সাথে আলোচনা করেছেন, আমিও দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ জানাবো তারা যাতে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হন। আর এলাকার জনগণ হিসেবে, সংসদ হিসেবে এ ব্যাপারে যতো সহযোগিতা লাগে আমি অবশ্যই পাশে থাকবো।

তিনি আরো বলেন, এ প্রজেক্টে সেনাবাহিনীকে দেয়ার জন্য আমার তরফ থেকে একটি অনুরোধ ছিলো। তারা সবচেয়ে ভালো কাজ করেন। আমি আশা করি তা তারা করবেন। মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন এ প্রজেক্ট পরিপূর্ণ করার জন্য যত টাকা লাগে সরকার তা দেবে। আর তা হলে নারায়ণগঞ্জ ঢাকার চেয়েও আধুনিক শহরে পরিণত হবে। এটাই আমার স্বপ্ন।

আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যেতে। একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ হলে দিনে দিনে সারা বাংলাদেশটাই সুন্দর হবে। আমাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি পদক্ষেপ একটি ধাপ আমরা এগিয়ে গেলাম।

তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীর কথা মতো এ প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে দুবছর সময় লাগবে। তারাঁ আমাকে কথা দিয়েছেন দু’বছরের আগেই এ প্রজেক্ট শেষ করবেন। তবে আরেকটি গ্রুপকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রতিনিয়ত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া মানুষের কষ্টটাকে লেখনী ও ফুটেজের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন যে কারণে আমার কথা বলতে সুবিধা হয়েছে।

এ ফান্ড আনতে সুবিধা হয়েছে। তারা আরেকটু ভূমিকা রাখলে এ প্রজেক্টে যদি ১ হাজার টাকা দরকার হয় তা আমরা আনতে পারবো। প্রাথমিক ভাবে এটা ৬৭৮ কোটি টাকার প্রজেক্ট তবে তা আরো বৃদ্ধি পাবে। এটার সাথে সংশ্লিষ্ট করার জন্য এলজিইডি এর মাধ্যমে ফতুল্লা থানায় ১২৫ কোটি টাকার মতো রাস্তাঘাট করার জন্য নিয়ে এসেছি।