নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে নবীন বরণ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নিতাইগঞ্জে গুদামে বিষ্ফোরণে নিহত ১, আহত ১০ পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১৪ জন গ্রেপ্তার আড়াইহাজারে দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার চাঁদার দাবিতে হামলা সজুকে প্রধান করে  ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ডিবি পরিচয়ে লুন্টিত ১৯ গরু উদ্ধার ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার সাংবাদিক সম্মেলনের ১ বছর পর ছাদ থেকে পরে কাউন্সিলর বাদলের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু কাদিয়ানীদের সালানা জলাস বন্ধের দাবিতে মহসড়কে বিক্ষোভ আড়াইহাজারে সাংবাদিক ফরহাদ পাঠানের ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা

সোনারগাঁয়ে বিএনপি কর্মীর ৮০ লাখ টাকা আত্নসাতের পাঁয়তারা করছে জামায়াত কর্মী

সোনারগাঁ প্রতিনিধি :সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর এলাকার মো: সেলিম নামে এক বিএনপি কর্মীর ৮০ লাখ টাকা আত্নসাত করার পাঁয়তারা করছে মো: মাসুম বিল্লা নামে আরেক জামায়াতে ইসলামের কর্মী। পাওনা টাকা চাইতে গেলেই প্রাণ নাশসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সেলিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার মৃত হেদায়েদ উল্লাহ মুন্সির ছেলে মো: সেলিম (৪৮) গত ৫ বছর আগে একই এলাকার মো: কুদরত আলী মাষ্টারের ছেলে মো: মাসুম বিল্লা (৪০) ও সফর আলীর ছেলে নাছিরকে (৩৮) ৮০ লাখ টাকা দেয়। পাওনা টাকা চাইতে গেলে গালমন্দ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। স্থানীয় বিচার সালিশের মাধ্যমে টাকা আদায় করতে না পেরে সেলিম ওই দুইজনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ভোক্তভূগী মো: সেলিম জানান, মাসুম বিল্লা কাঁচপুর এলাকায় বেসরকারি এ্যাপোলো হাসপাতাল গড়ে তুলেন। হাসপাতালে অংশিদার করার কথা বলে ৫ বছর আগে আমার কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেয় মাসুম বিল্লা। পরে আমাকে কাগজে কলমে অংশিদার না করে টাকা ফেরত দিবে বলে জানায়। আজ না কাল দিবে বলে সময় ক্ষ্যাপন করতে থাকে। চাপের মুখে যমুনা ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি চেক দেয়। ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জানতি পারি চেকে যে একাউন্ড নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে সে একাউন্ড চেক প্রদানের অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার এই প্রতারণা বুঝতে পেরে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। হাসপাতালের অংশিদার হলে যে হারে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল সে হিসেবে তার কাছে আমার কমপক্ষে ১ কোটি টাকার বেশি পাওনা হয়। কিন্তু মুনাফাত দূরের কথা আমার আসল টাকাই দিচ্ছেনা। তিনি আরো জানান, আমার পাওনা টাকা আতœসাত করার জন্য মাসুম বিল্লা ও নাছিরগংরা নানা কূটকৌশল শুরু করেছে।
সেলিম বলেন, আমি একজন বিএনপি কর্মী। আর মাসুম বিল্লা জামায়াতে ইসলাম করেন। সে সুবাধে তার সাথে আমার ভাল সুসম্পর্ক ছিল। তাই তার কথা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি আসলে তিনি একজন প্রতারক।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাসুম বিল্লার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলে সেলিমের কাছ থেকে আমি ৩ লাখ টাকা নিয়েছি। আশি লাখ টাকা দাবি করা ভিত্তিহীন।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে নবীন বরণ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁয়ে বিএনপি কর্মীর ৮০ লাখ টাকা আত্নসাতের পাঁয়তারা করছে জামায়াত কর্মী

আপডেট সময় : ১২:২৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

সোনারগাঁ প্রতিনিধি :সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর এলাকার মো: সেলিম নামে এক বিএনপি কর্মীর ৮০ লাখ টাকা আত্নসাত করার পাঁয়তারা করছে মো: মাসুম বিল্লা নামে আরেক জামায়াতে ইসলামের কর্মী। পাওনা টাকা চাইতে গেলেই প্রাণ নাশসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সেলিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার মৃত হেদায়েদ উল্লাহ মুন্সির ছেলে মো: সেলিম (৪৮) গত ৫ বছর আগে একই এলাকার মো: কুদরত আলী মাষ্টারের ছেলে মো: মাসুম বিল্লা (৪০) ও সফর আলীর ছেলে নাছিরকে (৩৮) ৮০ লাখ টাকা দেয়। পাওনা টাকা চাইতে গেলে গালমন্দ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। স্থানীয় বিচার সালিশের মাধ্যমে টাকা আদায় করতে না পেরে সেলিম ওই দুইজনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ভোক্তভূগী মো: সেলিম জানান, মাসুম বিল্লা কাঁচপুর এলাকায় বেসরকারি এ্যাপোলো হাসপাতাল গড়ে তুলেন। হাসপাতালে অংশিদার করার কথা বলে ৫ বছর আগে আমার কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেয় মাসুম বিল্লা। পরে আমাকে কাগজে কলমে অংশিদার না করে টাকা ফেরত দিবে বলে জানায়। আজ না কাল দিবে বলে সময় ক্ষ্যাপন করতে থাকে। চাপের মুখে যমুনা ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি চেক দেয়। ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জানতি পারি চেকে যে একাউন্ড নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে সে একাউন্ড চেক প্রদানের অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার এই প্রতারণা বুঝতে পেরে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। হাসপাতালের অংশিদার হলে যে হারে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল সে হিসেবে তার কাছে আমার কমপক্ষে ১ কোটি টাকার বেশি পাওনা হয়। কিন্তু মুনাফাত দূরের কথা আমার আসল টাকাই দিচ্ছেনা। তিনি আরো জানান, আমার পাওনা টাকা আতœসাত করার জন্য মাসুম বিল্লা ও নাছিরগংরা নানা কূটকৌশল শুরু করেছে।
সেলিম বলেন, আমি একজন বিএনপি কর্মী। আর মাসুম বিল্লা জামায়াতে ইসলাম করেন। সে সুবাধে তার সাথে আমার ভাল সুসম্পর্ক ছিল। তাই তার কথা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি আসলে তিনি একজন প্রতারক।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাসুম বিল্লার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলে সেলিমের কাছ থেকে আমি ৩ লাখ টাকা নিয়েছি। আশি লাখ টাকা দাবি করা ভিত্তিহীন।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।