স্টাফ রিপোর্টার :প্রতারণা করে অর্থ আত্নসাত মামলায় জাগরনী মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড ও জাগরনী টিভির (আইপি) ব্যবস্থপনা পরিচালক শাহিন আলম স্বপনকে (৪০) জেল হাজতে পাঠিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত। বুধবার (১৬ মার্চ) আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তার জামিন নামুঞ্জুর করে শাহিন আলম স্বপনকে আদালতের বিচারক বেগম আফনান সুমী জেলে পাঠান বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী তুহিন।
শাহিন আলম স্বপন ঝিনাইদহ জেলার মহিশপুর থানার কাজীরবার মাটলার এইট গ্রামের মো: সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকা জেলার হাতিরঝিল থানার মগবাজার চৌরাস্তা ৩৮৩ নং রাজ্জাক প্লাজা (১৫ তলা) জাগরনী মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে মো: চাঁন মিয়া।
জানা গেছে, আইপি টিভির সরকারি অনুমতি পাওয়ার আগেই তথ্যমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত কাগজপত্র দেখিয়ে জাগরনী মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড এর জাগরনী স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ১৫ হাজার শেয়ার ৩০ কোটি টাকায় বিক্রয় ও বাদীকে চ্যানেলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। অচিরেই চ্যানেলটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে প্রচার ও সম্প্রচারের সরকারি অনুমতি পাওয়া যাবে বলে বাদীকে প্রলুব্ধ করেন। বিবাদী শাহিন আলম স্বপনের কথা বিশ্বাস করে বাদী চাঁন মিয়া ২০১৯ সালের ২৭ আগষ্ট একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বিবাদীকে ১ কোটি টাকা দেয়। পরে স্যাটেলাইট টিভির অনুমতি পাওয়ার কথা বলে ২ কোটি ও পর্যায়ক্রমে আরো ৯৩ লাট টাকা নেন বিবাদী। পরে ১ কোটি টাকা করে আরো মোট ৬টি ব্যাংক চেক নেন। পরে ১৫ হাজার শেয়ারের মূল্য ৩০ কোটি টাকা থেকে ২১ কোটি টাকা কমিয়ে ৯ কোটি টাকা ধার্য্য করে বিভিন্ন আজুহাতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু বাদী বার বার তাগিদ দিলেও জাগরনী টিভি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সম্প্রচারের অনুমতি পাওয়ার বৈধ সরকারি অনুমতিপত্রের কপি বিবাদী দেখাতে পারেনি। এতে বাদীর সন্দেহ হলে বাদী তথ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন জাগরনী টিভি নামে কোন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে প্রচারের জন্য নেই। তখন ২০২১ সালের ১৩ মে বাদীর কাছ থেকে প্রতারণা করে নেয়া সমস্থ টাকা ফেরত চাইলে বিবাদী দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বরং উল্টো বাদীকে নানান হুমকি ধমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে চাঁন মিয়া প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিন আলম স্বপন ও পরিচালক ফাতিমা আক্তারকে বিবাধী করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২১ ঢাকা মামলা করেন। যার সি, আর মামলা নং ৩৫০/২০২১ ধারা ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯ দন্ডবিধি। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে দায়িত্ব দেন। ঢাকা মেট্রো (উত্তর) পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী বাদীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিবাদীকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। তখন বিবাদী হাইকোর্ট থেকে ৩ সপ্তাহের জামিন নেয়। হাইকোর্ট ১৭ মার্চের মধ্যে নিন্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেওয়ার সময় নির্ধারণ করে দেন।
বাদী পক্ষের আইনজী তুহিন জানান, ১৭ মার্চ আদালত বন্ধ থাকায় বিবাদী ১৬ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদলাত বিবাধীর জামিন আবেদন নামুঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। বিবাদী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাহার।
তবে পরবর্তিতে জাগরনী টিভি আইপি টিভি হিসেবে সরকারি অনুমতি পায় বলে জানা গেছে।
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারণা মামলায় জাগরনী টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেল হাজতে
- প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ১১:৩৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
- ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ