বিশেষ প্রতিনিধি : ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম সরকার উৎখাতের যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল তাদের নেপথ্য নায়ক, কুশিলব, হেফাজতের হরতালে সমর্থনদাকারী ও পৃষ্টপোষকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী ও সমন্বয়ক শেখ জনি ইসলাম।
বুধবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এই দাবী জানান।
তারা বলেন, কওমি মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদেরকে উসকানি দিয়ে মাঠে নামিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার আন্দোলনের নামে সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের প্রকাশ্যে হেফাজতে ইসলাম হলেও নেপথ্য নায়ক অন্য কেউ। আর সেই সময়ের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর লক্ষ্য করলেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে বিএনপি-জমাততই তাদের আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগর ও পৃষ্টপোষক এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট।
নেতৃদ্বয় বলেন, হেফাজতে বর্তমান কমিটির অধিকাংশ নেতৃত্বই হলো বিএনপি-জমাত জোটের শরিক খেলাফত মজলিশ (ড. আহমেদ আবদুল কাদের), ইসলামী ঐক্যজোট (এডভোকেট আবদুর রকিব) অংশের নেতারাই। এরা কমিটির প্রায় ৭০%। অন্য ইসলামিক দলের নেতাদের আধিপত্য একেবারেই কম। সুতরাং এর পেছন থেকে বিএনপি-জমাতের পরোক্ষ পৃষ্টপোষকতা রয়েছে এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই।
তারা বলেন, অন্যদিকে এই হেফাজতকে ব্যবহার করে এবং তাদের আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট অবস্থার সুযোগ ঘরে তুলতে নানাভাবে ব্যাস্ত নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির মে. জে. (অব.) সৈয়দ ইবরাহিম গংরা। তাদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মকান্ডই সন্দেহজনক। এবং তার পেছনের নেপথ্য অর্থপৃষ্টপোষকতাও আসছে জমাতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। হেফাজতের হরতালে ২০ দল প্রকাশ্যে সমর্থন না দিলেও ২০ দলের শরিক জমাতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট এহসানুল হুদা প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের নিয়েও মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। জমাতের পৃষ্টপোষকতায় জেনারেল ইবরাহিমের ষড়যন্ত্রের সাথেও হুদার সংশ্লিতার কথা শোনা যায়।
নেতৃদ্বয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐক্যের প্রতীক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসির সরকার উৎখাতের সাথে সংশ্লিস্ট প্রতিক্রিয়াশীল, ৭১’র পরাজিত শক্তি ও জমাতের পৃষ্টপোষকতায় বেড়ে উঠা ষড়যন্ত্রকারী হেফাজত নেতাদের পাশাপাশি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) ইবরাহিম, জাতীয় দলের সভাপতি এডভোকেট এহসানুল হুদা, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরু সহ সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ঘটনার পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করা যাবে। তাই দেশের শান্তি, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান।
একই সাথে সময়ের দাবী ও বাস্তবতার দিকে নজর দিয়ে দেশবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিরোধে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ১৪ দলীয় জোটের বাহিরেও রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর আহ্বান জানান।