বিশেষ প্রতিনিধি : রাজধানীর দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগ সভাপতির শামিম আহমেদ বাপ্পীর বিরূদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলতলা এলাকার ইউএল ফ্যাশন লিমিটেড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তেঁতুলতলা এলাকার কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, ইউএল ফ্যাশন লিমিটেড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর জুট মামুন নামের এক ব্যক্তি বৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে। ঐ গার্মেন্টসে এক শ্রমিকের বেতন উত্তোলনে আসেন দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ বাপ্পি।
বাপ্পি এসেই গার্মেন্টসের গেটে লাথি মারেন ও ভেতরে প্রবেশ করে এমডিসহ কয়েকজনকে মারধর করেন।
এক পর্যায়ে বাপ্পি দাবি করেন যে, এই গার্মেন্টসের জুট সব তাকে দিতে হবে।
পরবর্তীতে মামুন (৩২)নামের ওই জুট ব্যবসায়ীর সাথে গতবৃহস্পতিবার দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পী (৩৪) এর কথাকাটাকাটি ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে এলাকার কিছু মুরুব্বীদের মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়। কিন্তু ২য় রমজান ইফতারের পর ছাত্রলীগ সভাপতি বাপ্পী তার দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেঁতুলতলা এলাকায় হামলা করেন। এতে রুবেল, রানা ও মামুন নামের কয়েকজন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করছে আহত রুবেল। যার নং-২৪/১৬-০৪-২০২১..
আহত রুবেল জানায়, ‘ইফতারের পর বের হলে দেখতে পাই এলাকার এক ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে যায় বাপ্পী ও তার গুন্ডা বাহিনী। আমি বাঁধা দিলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। আমাকে বাঁচাতে মামুন এগিয়ে এলে তাকেও রামদাঁ দিয়ে হাতে কোপানো হয়। আল্লাহ সহায় ছিল বলে কোনরকমে জানে বেঁচে যাই’।
আহত মামুন বলেন, আমি বৈধভাবে জুটের ব্যবসা করি। ছাত্রলীগের বাপ্পী চাঁদা দাবি করলে আমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয় বাপ্পী গ্রুপ ফলে অতর্কিত হামলা চালায় আমাদের উপর।
এ বিষয়ে, দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পীকে ফোন করলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএল ফ্যাশন লিমিটেড গার্মেন্টস চেয়ারম্যান উজ্জল হোসেন, ঘটনার দিন অভিযুক্ত শামীম আহমেদ বাপ্পি লোকজন নিয়ে তার ফ্যাক্টরিতে আতর্কিত ঢুকে জিএম সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে এবং ফ্যাক্টরির মালামাল ভাঙচুর করে।