নারায়ণগঞ্জ ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন না করেও অপপ্রচারের শিকার মহিউদ্দিন মোল্লা ! সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা

সাত মাসে প্রসব মারা গেছে সেই নবজাতক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে সাত মাসে প্রসব করানো সেই নবজাতক মারা গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হসপিটালের এনআইসিওতে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। নির্দিষ্ঠ সময়ের আগেই ডাক্তার নূরজাহান বেগম গত বুধবার রাতে গৃহবধূ সাদিয়ার হাত পা বেঁধে জোরাজোরি করে সন্তান প্রসব করায় বলে করেন নবজাতকের পিতা মাহাবুবুর হাসান।

মাহাবুবুর হাসানের অভিযোগ, পেটে সামন্য ব্যাথা অনুভব করায় গত বুধবার রাতে সাত মাসের অন্তঃসত্তা সাদিয়াকে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে নেই। তখন হসপিটালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগমের তত্ত্বাবধানে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষা-রিরিক্ষা ছাড়াই সন্তান প্রসবের জন্য রাত ১০ টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আমার স্ত্রী কান্না কাটি করতে থাকলে তার হাত ও পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ৫৫ মিনিট পর থিয়েটার থেকে বের হয়ে ডাক্তার নূরজাহান বেগম আমাকে বলেন বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এনআইসিও’তে ভর্তী করতে হবে। এনআইসিওতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ দেখে জিজ্ঞাসা করলে ডাক্তার রেগে যান। বিষয়টি হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারাও আমাকে ধমক দিয়ে অসদাচরণ করেন। জোরাজোরি করে বাচ্চা প্রসব করানোর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মাহবুবুর হাসানের অভিযোগ।

ডাক্তার নূরজাহান বেগম বলেন, রোগী সাত মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন। তাকে হসপিটালে আনার পর দেখি বাচ্চার মাথা নিচে চলে এসেছে। তাই দ্রুত লেবার রুমে নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাই। প্রসবের পর বাচ্চা ঠিকমত অক্সিজেন পাচ্ছিলোনা। তাই তাকে এনআইসিওতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বাচ্চাটিকে বাঁচানো যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন হাসপিটাল কর্তৃপক্ষ। নিহত নবজাতকের ছবি উঠাতে দেওয়া হয়নি। তবে নিহতের পিতার সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হসপিটালের মালিক পক্ষের একজন জানান।

অভিযোগ রয়েছে, প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল এন্ড কলেজটি চালু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ডক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুরও চালিয়েছে। হসপিটালটির অপচিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধমের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া কারণ ছাড়াই বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতা দেখিয়ে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-রিরিক্ষা করানোর অভিযোগ রয়েছে হসপিটালটির বিরুদ্ধে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ

সাত মাসে প্রসব মারা গেছে সেই নবজাতক

আপডেট সময় : ১০:২২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে সাত মাসে প্রসব করানো সেই নবজাতক মারা গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হসপিটালের এনআইসিওতে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। নির্দিষ্ঠ সময়ের আগেই ডাক্তার নূরজাহান বেগম গত বুধবার রাতে গৃহবধূ সাদিয়ার হাত পা বেঁধে জোরাজোরি করে সন্তান প্রসব করায় বলে করেন নবজাতকের পিতা মাহাবুবুর হাসান।

মাহাবুবুর হাসানের অভিযোগ, পেটে সামন্য ব্যাথা অনুভব করায় গত বুধবার রাতে সাত মাসের অন্তঃসত্তা সাদিয়াকে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে নেই। তখন হসপিটালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগমের তত্ত্বাবধানে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষা-রিরিক্ষা ছাড়াই সন্তান প্রসবের জন্য রাত ১০ টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আমার স্ত্রী কান্না কাটি করতে থাকলে তার হাত ও পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ৫৫ মিনিট পর থিয়েটার থেকে বের হয়ে ডাক্তার নূরজাহান বেগম আমাকে বলেন বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এনআইসিও’তে ভর্তী করতে হবে। এনআইসিওতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ দেখে জিজ্ঞাসা করলে ডাক্তার রেগে যান। বিষয়টি হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারাও আমাকে ধমক দিয়ে অসদাচরণ করেন। জোরাজোরি করে বাচ্চা প্রসব করানোর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মাহবুবুর হাসানের অভিযোগ।

ডাক্তার নূরজাহান বেগম বলেন, রোগী সাত মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন। তাকে হসপিটালে আনার পর দেখি বাচ্চার মাথা নিচে চলে এসেছে। তাই দ্রুত লেবার রুমে নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাই। প্রসবের পর বাচ্চা ঠিকমত অক্সিজেন পাচ্ছিলোনা। তাই তাকে এনআইসিওতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বাচ্চাটিকে বাঁচানো যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন হাসপিটাল কর্তৃপক্ষ। নিহত নবজাতকের ছবি উঠাতে দেওয়া হয়নি। তবে নিহতের পিতার সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হসপিটালের মালিক পক্ষের একজন জানান।

অভিযোগ রয়েছে, প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল এন্ড কলেজটি চালু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ডক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুরও চালিয়েছে। হসপিটালটির অপচিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধমের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া কারণ ছাড়াই বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতা দেখিয়ে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-রিরিক্ষা করানোর অভিযোগ রয়েছে হসপিটালটির বিরুদ্ধে।