নারায়ণগঞ্জ ০৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন না করেও অপপ্রচারের শিকার মহিউদ্দিন মোল্লা ! সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক

প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে পা বেধে সাত মাসেই সন্তান প্রসব

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • ২৭২ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে প্রসতির দুই পা বেধে করানো হয়েছে সন্তান প্রসব। পেটের ব্যাথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধূকে অপরেশন থিয়েটারে নিয়ে সন্তান প্রসব করানো হয়। নবজাতকের অবস্তা গুরুতর। প্রসতির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার প্রতিবাদ করায় স্বজনদের অশালীন ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারও হসপিটাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সানারপাড় এলাকার মাহাবুবুর হাসানের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্তা সাদিয়ার পেটে ব্যাথা অনুভব করায় বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন হসপিটালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগমের তত্ত্বাবধানে সাদিয়াকে ভর্তি করে কোন পরীক্ষা-রিরিক্ষা না করেই সন্তান প্রসব করার জন্য রাত ১০ টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাদিয়ার স্বামী মাহবুবুর হাসান বলেন, ডাক্তার নূরজাহান বেগম আমার স্ত্রীকে কোন পর্যবেক্ষণ না করেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী ব্যাথায় চিৎকার করতে থাকলে তার দুই পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এসময় বাহির থেকে স্ত্রীর চিৎকার শোনতে পাই। অন্তত ৫৫ মিনিট পর থিয়েটার থেকে বের হয়ে ডাক্তার নূরজাহান বেগম বলেন বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাচ্চাকে এনআইসিও’তে ভর্তী করাতে হবে। পরে এনআইসিওতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ দেখে জিজ্ঞাসা করলে আশালীন ভাষায় গালাগালি করে ডাক্তার নূরজাহান। জোরাজোরি করে বাচ্চা প্রসব করানোর ফলে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মাহবুবুর হাসানের অভিযোগ।
ডাক্তার নূরজাহান বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগী ৭ মাসের অন্তঃসত্তা। তাকে হসপিটালে নিয়ে আসার পর দেখি বাচ্চার মাথা নিচে চলে এসেছে। তখন দ্রুত তাকে লেবার রুমে নিয়ে যাই। নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। প্রসবের পর বাচ্চা ঠিকমত অক্সিজেন পাচ্ছিলোনা। তাই তাকে এনআইসিওতে রাখা হয়। প্রসবের সময় রোগীর সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল এন্ড কলেজটি চালু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ডক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুরও চালিয়েছে। হসপিটালটির অপচিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধমের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া কারণ ছাড়াই বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতা দেখিয়ে রোগীর পরিবারের কাছ বেশি অর্থ আদায়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-রিরিক্ষা করানোর অভিযোগ রয়েছে হসপিটালটির বিরুদ্ধে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা

প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে পা বেধে সাত মাসেই সন্তান প্রসব

আপডেট সময় : ১২:০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে প্রসতির দুই পা বেধে করানো হয়েছে সন্তান প্রসব। পেটের ব্যাথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধূকে অপরেশন থিয়েটারে নিয়ে সন্তান প্রসব করানো হয়। নবজাতকের অবস্তা গুরুতর। প্রসতির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার প্রতিবাদ করায় স্বজনদের অশালীন ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারও হসপিটাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সানারপাড় এলাকার মাহাবুবুর হাসানের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্তা সাদিয়ার পেটে ব্যাথা অনুভব করায় বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন হসপিটালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগমের তত্ত্বাবধানে সাদিয়াকে ভর্তি করে কোন পরীক্ষা-রিরিক্ষা না করেই সন্তান প্রসব করার জন্য রাত ১০ টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাদিয়ার স্বামী মাহবুবুর হাসান বলেন, ডাক্তার নূরজাহান বেগম আমার স্ত্রীকে কোন পর্যবেক্ষণ না করেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী ব্যাথায় চিৎকার করতে থাকলে তার দুই পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এসময় বাহির থেকে স্ত্রীর চিৎকার শোনতে পাই। অন্তত ৫৫ মিনিট পর থিয়েটার থেকে বের হয়ে ডাক্তার নূরজাহান বেগম বলেন বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাচ্চাকে এনআইসিও’তে ভর্তী করাতে হবে। পরে এনআইসিওতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ দেখে জিজ্ঞাসা করলে আশালীন ভাষায় গালাগালি করে ডাক্তার নূরজাহান। জোরাজোরি করে বাচ্চা প্রসব করানোর ফলে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মাহবুবুর হাসানের অভিযোগ।
ডাক্তার নূরজাহান বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগী ৭ মাসের অন্তঃসত্তা। তাকে হসপিটালে নিয়ে আসার পর দেখি বাচ্চার মাথা নিচে চলে এসেছে। তখন দ্রুত তাকে লেবার রুমে নিয়ে যাই। নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। প্রসবের পর বাচ্চা ঠিকমত অক্সিজেন পাচ্ছিলোনা। তাই তাকে এনআইসিওতে রাখা হয়। প্রসবের সময় রোগীর সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল এন্ড কলেজটি চালু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ডক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুরও চালিয়েছে। হসপিটালটির অপচিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধমের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া কারণ ছাড়াই বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতা দেখিয়ে রোগীর পরিবারের কাছ বেশি অর্থ আদায়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-রিরিক্ষা করানোর অভিযোগ রয়েছে হসপিটালটির বিরুদ্ধে।