নারায়ণগঞ্জ ১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত

কবরস্থান মসজিদের টাকা আত্মসাৎ একের পর এক অভিযোগ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পাগলা শাহী বাজার কবরস্থান মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক যেন লেগেই আছে।

পূর্বের কমিটির নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছিল কবরস্থান মসজিদের কাজ। কবরের উপর মসজিদ বা মার্কেট নির্মাণ করা যাবে না এ নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন এই আন্দোলনে মানববন্ধন কর্মসূচি করার পর কবরস্থান মসজিদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় পূর্বের কমিটি কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকার পর কবরস্থান কমিটির উপদেষ্টা ও কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর নেতৃত্বে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় কমিটির আহ্বায়ক করা হয়
কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনকে।

জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি স্বচ্ছ কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা না করে আহবায়ক কমিটির নিয়ন্ত্রণেই শুরু হয় কবরস্থান মসজিদ নির্মাণের কাজ।

কাজ চলাকালীন সময়ে আবারো বিতর্কের অভিযোগ ওঠে আহবায়ক কমিটির উপর পূর্বের কমিটির নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় কৃত মসজিদের এসি বিক্রির তাদের অভিযোগ আমরা নিজেদের অর্থায়নে মসজিদের জন্য এসি ক্রয় করিয়াছি এগুলো মসজিদেই থাকবে। আমাদেরকে না জানিয়ে আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে এসি গুলো বিক্রি করা হলো কেন।

এ বিষয়ে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি সদস্য সচিব মুজাফফর এর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন মসজিদ এখন বড় হয়েছে পূর্বের এসি গুলা পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে এইজন্য বিক্রি করা হয়েছে। আর এই এসি গুলি ছিল তিন টনের এখন আমরা ৫ টনের এসি ক্রয় করব। আর এই ব্যাপারে সকলের সাথে কথা বলে আলোচনা সাপেক্ষে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসি গুলি বিক্রি করা হয়েছে।

কবরস্থানে দান করা জায়গায় বসত বাড়ি ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জায়গাটি ভোগ দখল করার অভিযোগ উঠেছে লিপি নামের একজন মহিলার বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে লিপির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি তা অশিকার করেন। এবং এই ব্যাপারে অপু উকিলের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি বলেন জায়গাটি আমার নামে সাব কাবলা দলিল রয়েছে কবরস্থানের জায়গা আমি কিভাবে ভোগ করব আমি কি পাগল বারবার আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে কেন।

এ বিষয়ে কবরস্থান মসজিদের বর্তমান কমিটি আহবায়ক জসীমউদ্দীন ও সদস্য সচিব মোজাফফরের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বলেন আমরাও এ ব্যাপারটি শোনার পর এই মহিলার বাড়িতে কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম এবং কথা বলেছি সে এক লক্ষ টাকার কথা স্বীকার করেছে।

এই টাকা কে নিয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন সাবেক কমিটির হুমায়ুন কবিরের নাম। এই বিষয়ে হুমায়ূন কবিরের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে লিপি নামের কাউকে চিনেন না বলে জানালেও পরে তিনি স্বীকার করে বলেন এটা ১৫ বছর আগের কথা হাফিজ উদ্দিন হাওলাদারের সময় আগের মসজিদের কাজ করার সময় কবরস্থানে পুকুর ছিল পুকুর ভরাট ও মসজিদের কাজে এই টাকা ব্যয় করা হয়েছে এটা ইউনুস ভাই সহ জসিম ভাই মোজাফফর ও অ্যাডভোকেট শাহীন এর সাথে কথা বলে সমাধান করেছি।

তিনি আরো বলেন আমি তো এখনো কবরস্থান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে কোন কমিটি নেই আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে একটি স্বচ্ছ কমিটি করে দেওয়ার জন্য ইনশাআল্লাহ আগামী কমিটিতেও আমার অবস্থান একটি ভালো জায়গায় থাকবে আমি ১৫ বছর কবরস্থান মসজিদ কমিটিতে আছি বিগত কমিটি করার সময় এমপি শামীম ওসমান সাহেব জিজ্ঞেস করছেন হুমায়ূনের নাম আছে কিনা যদি না থাকে তার নাম দিয়ে কমিটি করে নিয়ে আসেন আমি যদি খারাপ হতাম আহলে ১৫ বছর এই কমিটিতে থাকতে পারতাম না। আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে আগের মসজিদের তিনটি এসি বিক্রি করা হয়েছে এ বিষয়ে আপনি জানেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

কবরস্থান মসজিদের টাকা আত্মসাৎ একের পর এক অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পাগলা শাহী বাজার কবরস্থান মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক যেন লেগেই আছে।

পূর্বের কমিটির নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছিল কবরস্থান মসজিদের কাজ। কবরের উপর মসজিদ বা মার্কেট নির্মাণ করা যাবে না এ নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন এই আন্দোলনে মানববন্ধন কর্মসূচি করার পর কবরস্থান মসজিদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় পূর্বের কমিটি কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকার পর কবরস্থান কমিটির উপদেষ্টা ও কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর নেতৃত্বে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় কমিটির আহ্বায়ক করা হয়
কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনকে।

জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি স্বচ্ছ কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা না করে আহবায়ক কমিটির নিয়ন্ত্রণেই শুরু হয় কবরস্থান মসজিদ নির্মাণের কাজ।

কাজ চলাকালীন সময়ে আবারো বিতর্কের অভিযোগ ওঠে আহবায়ক কমিটির উপর পূর্বের কমিটির নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় কৃত মসজিদের এসি বিক্রির তাদের অভিযোগ আমরা নিজেদের অর্থায়নে মসজিদের জন্য এসি ক্রয় করিয়াছি এগুলো মসজিদেই থাকবে। আমাদেরকে না জানিয়ে আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে এসি গুলো বিক্রি করা হলো কেন।

এ বিষয়ে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি সদস্য সচিব মুজাফফর এর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন মসজিদ এখন বড় হয়েছে পূর্বের এসি গুলা পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে এইজন্য বিক্রি করা হয়েছে। আর এই এসি গুলি ছিল তিন টনের এখন আমরা ৫ টনের এসি ক্রয় করব। আর এই ব্যাপারে সকলের সাথে কথা বলে আলোচনা সাপেক্ষে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসি গুলি বিক্রি করা হয়েছে।

কবরস্থানে দান করা জায়গায় বসত বাড়ি ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জায়গাটি ভোগ দখল করার অভিযোগ উঠেছে লিপি নামের একজন মহিলার বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে লিপির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি তা অশিকার করেন। এবং এই ব্যাপারে অপু উকিলের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি বলেন জায়গাটি আমার নামে সাব কাবলা দলিল রয়েছে কবরস্থানের জায়গা আমি কিভাবে ভোগ করব আমি কি পাগল বারবার আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে কেন।

এ বিষয়ে কবরস্থান মসজিদের বর্তমান কমিটি আহবায়ক জসীমউদ্দীন ও সদস্য সচিব মোজাফফরের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বলেন আমরাও এ ব্যাপারটি শোনার পর এই মহিলার বাড়িতে কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম এবং কথা বলেছি সে এক লক্ষ টাকার কথা স্বীকার করেছে।

এই টাকা কে নিয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন সাবেক কমিটির হুমায়ুন কবিরের নাম। এই বিষয়ে হুমায়ূন কবিরের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে লিপি নামের কাউকে চিনেন না বলে জানালেও পরে তিনি স্বীকার করে বলেন এটা ১৫ বছর আগের কথা হাফিজ উদ্দিন হাওলাদারের সময় আগের মসজিদের কাজ করার সময় কবরস্থানে পুকুর ছিল পুকুর ভরাট ও মসজিদের কাজে এই টাকা ব্যয় করা হয়েছে এটা ইউনুস ভাই সহ জসিম ভাই মোজাফফর ও অ্যাডভোকেট শাহীন এর সাথে কথা বলে সমাধান করেছি।

তিনি আরো বলেন আমি তো এখনো কবরস্থান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে কোন কমিটি নেই আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে একটি স্বচ্ছ কমিটি করে দেওয়ার জন্য ইনশাআল্লাহ আগামী কমিটিতেও আমার অবস্থান একটি ভালো জায়গায় থাকবে আমি ১৫ বছর কবরস্থান মসজিদ কমিটিতে আছি বিগত কমিটি করার সময় এমপি শামীম ওসমান সাহেব জিজ্ঞেস করছেন হুমায়ূনের নাম আছে কিনা যদি না থাকে তার নাম দিয়ে কমিটি করে নিয়ে আসেন আমি যদি খারাপ হতাম আহলে ১৫ বছর এই কমিটিতে থাকতে পারতাম না। আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে আগের মসজিদের তিনটি এসি বিক্রি করা হয়েছে এ বিষয়ে আপনি জানেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।