অনলাইন ডেস্ক : নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল সাতটার দিকে শহরের বলারিপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হতে ভবনের অন্য বাসিন্দারা স্বামী মামুনকে আটক করে রেখেছে।
নাটোর পুলিশ তদন্ত ব্যুরোর পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী। এছাড়া তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের স্বামী নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, রোববার ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য তিনি তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাড়ির বাইরে যান। পথে জরুরি কথা বলার জন্য স্ত্রী খাইরুন নাহারকে ফোন করেন। কিন্তু ফোনকলটি খায়রুন নাহার রিসিভ করেননি। এরপর মামুন তার স্ত্রীকে আরও কয়েকবার কল করেন। এতেও ফোন রিসিভ না হলে মামুন বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর দরজা খুলে ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে অন্য ঘরে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে গ্যাসলাইট দিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তার স্ত্রীকে নিচে নামিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডাক দেন। এরপর পুলিশকে জানানো হয়।
সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো: খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে ছয় মাসের প্রেমের পর স্বামী পরিত্যক্তা এক ছেলের জননী খায়রুন নাহার গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।