উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত১ লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে জামানত ছিলো ৯০ হাজার টাকা, এবার ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
একই সাথে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা জামানত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বাদ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তবে ইসি সিদ্ধান্ত নিলেও এখনই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। ইসির এসব সিদ্ধান্ত পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে তা আবার ইসির কাছে ফেরত পাঠাবে। তারপর ইসি পর্যালোচনা করে তা আবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
ইসি সচিব জানান, ইসির আইন সংস্কারবিষয়ক কমিটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় কিছু হালনাগাদ করার প্রস্তাব করেছিল। কমিশনের আজকের বৈঠকে এগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।
সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, আরও যেসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে প্রতীক বরাদ্দের আগপর্যন্ত সময়ে সর্বোচ্চ ৫ জন সঙ্গে নিয়ে জনসংযোগ করতে পারবেন। আগে বিধিমালায় এ বিধান ছিল না। এখন জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশ ভোট পেতে হয়। এটি ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে তাঁর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। এ ছাড়া সাদাকালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ছাপানো যাবে, এমন প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।
ইসি সচিব জানান, গত বছর গণপ্রতিনিধত্ব আদেশ সংশোধন করে কিছু ক্ষেত্রে সাজা ও ক্ষমতা বাড়ানো হয়। উপজেলা নির্বাচন বিধিমালায় এটি সমন্বয় করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।