নারায়ণগঞ্জ ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়’ই তেলের মুল্যবৃদ্ধি : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি :

ঈদের আগে ভোজ্য তেলের সঙ্কট তৈরী করে যে সিন্ডিকেট জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার তাদের শাস্তি প্রদান না করে তেলের মুল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে পুরস্কৃত করল বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জনগন নয় সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়ই ভোজ্য তেলের মুল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার।

শনিবার (৭ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেছেন।

তারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে কোনও তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হতে থাকে। বাজারে এমন সঙ্কটের মাধেই সরকার দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নিমে আসবে তার দায় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিবও এড়াতে পারবেন না।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও লুটেরা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার নিজেই প্রমান করলো দেশের বাজার আজ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি।

তারা আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে যেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল, সেই সুবিধা তো জনগণ পেলই না, উল্টো আরও মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে হঠাৎ করে তেল উধাও করে দেওয়া হলো। যেখানে লুটেরাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা, তা না করে সরকার মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া অন্যকিছুই নয়।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়’ই তেলের মুল্যবৃদ্ধি : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি :

ঈদের আগে ভোজ্য তেলের সঙ্কট তৈরী করে যে সিন্ডিকেট জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার তাদের শাস্তি প্রদান না করে তেলের মুল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে পুরস্কৃত করল বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জনগন নয় সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়ই ভোজ্য তেলের মুল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার।

শনিবার (৭ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেছেন।

তারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে কোনও তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হতে থাকে। বাজারে এমন সঙ্কটের মাধেই সরকার দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নিমে আসবে তার দায় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিবও এড়াতে পারবেন না।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও লুটেরা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার নিজেই প্রমান করলো দেশের বাজার আজ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি।

তারা আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে যেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল, সেই সুবিধা তো জনগণ পেলই না, উল্টো আরও মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে হঠাৎ করে তেল উধাও করে দেওয়া হলো। যেখানে লুটেরাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা, তা না করে সরকার মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া অন্যকিছুই নয়।