অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান।
এর আগে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হয়ে থাকা জেল হত্যা মামলার এ আসামিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির একটি আদালত। খায়রুজ্জামানের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়ালালামপুরের একটি আদালত শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এএস ঢালিওয়াল ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের কাছে দাবি করেন, তার মক্কেল (খায়রুজ্জামান) একজন রাজনৈতিক শরণার্থী। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচিআর) কার্ডধারী। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। তাকে আটক করা বেআইনি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।
শরণার্থী কার্ডে গত প্রায় এক যুগ ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা খায়রুজ্জামানকে গত বুধবার অভিবাসন আইনে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
খায়রুজ্জামানের গ্রেপ্তারের পর সামনে এসেছে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা মামলার বিষয়টি। এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামান জেলহত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের সময় তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে চাকরিতে যুক্ত হন।