আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে আড়াইহাজার উপজেলা ইউনিয়ন গুলির নির্বাচন।সেই লক্ষে বেশ সরব হয়ে ওঠেছে রাজনৈতিক মাঠ।তৃণমূলে দেখা দিয়েছে নির্বাচনী আমেজ।বইতে শুরু করেছে সম্ভ্যাব্য প্রার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তিতর্ক।চায়ের কাপে তুলছে ঝড়।দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ করছেন সম্ভ্যাব্য প্রার্থীরা।বিভিন্ন কায়দায় ছুটে চলেছেন তৃণমূলের সমর্থন পেতে।দারস্ত হচ্ছেন নীতি নির্ধারকদের কাছে।তবে এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম পন্থা অবলম্বন বেছে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি মোঃ জুনায়েদ ভূঁইয়া প্রিন্স।যিনি হাইজাদী ইউপিতে নব্য আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচিত।ইউপি নির্বাচনের কিছুদিন পূর্বে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলার মাধ্যমে হাইজাদী ইউনিয়নে জাগানিয়া দেন তিনি আসছেন পেশি শক্তি কায়েম করে রাজনীতির চর্চা করতে।আর এমন খবরে তৃণমূলে দেখা দেয় প্রিন্সের প্রতি মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ও তীব্র ক্ষোভ।
আরোও জানাগেছে, নিজের অবস্থানকে জাগানিয়া দিতে গিয়ে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করে ক্ষান্ত হয়নি তিনি।অভিযোগ আছে দলীয় পার্টি অফিসে হামলা চালান তিনি।তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা দলীয় সভানেত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ও আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি নজরুল ইসলাম বাবু’র ছবি ভাংচুর করেন।এনিয়ে নিয়ে ঐসময় মামলায় শিকার হন তিনি।জেলও খেটেছেন তিনি।তবে বর্তমান সময়ে প্রিন্সের দৌরাত্ম্যে ও অশোভন কথাবার্তায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দেখা দিয়েছে তিক্ততা।যার ফলে বেশ কিছুদিন আগে একটি ওয়াজ মাহফিলে প্রিন্সের তিক্ত বক্তব্যের ফলে লাঞ্চিত হন জনসাধারণের তোপের মুখে পড়ে।
এছাড়াও অভিযোগ আছে প্রিন্সের সমর্থকরা চাউর করে বেড়াচ্ছেন যেকোন মূল্যে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে চান।প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতাদের দারস্থ হবেন।তবে এ বিষয়টিকে সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূল।কারণ তৃণমূল মনে করেন আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক হলেন এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।অথচ এমন বক্তব্যে এমপি নজরুল ইসলাম বাবুকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল।তাছাড়াও প্রিন্সের চারিপাশের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে বিতর্কিত কর্মকান্ডের তকমা।এর সঙ্গে রাজনীতিতে জড়িত আছে নারী কেলেংকারী ও ধর্ষণ মামলার আসামি।একাধিক মাদকসেবী ও মাদক মামলার আসামি।অথচ প্রিন্স প্রায় সময় তার বক্তব্যে বলেন থাকেন তিনি নাকি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন উপহার দিতে চান।যা বর্তমান সময়ে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছেন তৃণমূলের কাছে।যার ফলে তৃণমূলে দাবি ওঠেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারসহ আড়াইহাজার উপজেলাবাসীর মাটি ও মানুষের নেতা জননেতা এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ছবি ভাংচুরকারীকে তারা কোন জনপ্রতিনিধি হিসেবে অত্র ইউনিয়নে দেখতে চান না।
অন্যদিকে প্রিন্স ছাড়াও একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।এদের অনেকের ইমেজ ক্লিন থাকলেও অনুপ্রবেশকারী তকমা আছে হাইজাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতালেব ভূঁইয়ার কপালে।যার ফলে পোড়খাওয়া পরীক্ষিত আওয়ামীলীগ নেতাদের ভাষ্যমতে তিনি গ্রহনযোগ্যতার দিক দিতে পিছিয়ে আছেন।তবে এক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন আসন্ন হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজধারী একাধিকবারের চেয়ারম্যান আলি হোসেন ভূঁইয়া।বিএনপি অধ্যুষিত ইউনিয়নকে যিনি তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে।দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সাধারণ মানুষের সেবায়। ইতিমধ্যে তার নিজস্ব অর্থায়নে জনসাধারণ জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেন ও সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করছেন সাধারণ মানুষদের। করোনার এই মহা দুর্যোগে তিনি শুরু থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।তিনি নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান।
স্থানীয় সাধারণ জনগণ বলেন, তিনি তাদের সকল বিপদে আপদে এগিয়ে আসছেন। রাত-দিন যখনই চাই আমরা তাকে পাশে পান।এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাইজাদী ইউনিয়নের অসমাপ্ত উন্নয়নের স্বার্থে সমাজ সেবক আলি হোসেন ভূঁইয়া’কে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান।দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তার আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত প্রান।তিনি বিভিন্ন ভাবে মানুষের সেবা ও ব্যক্তিগতভাবে এলাকার অসহায়-গরীবদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
তারা আরোও বলেন, আমরা চাই উন্নয়ন।আর সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন আড়াইহাজার উপজেলা হাইজাদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলি হোসেন ভূঁইয়া।আড়াইহাজার আসনের মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু (এমপি) মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় দল-মত নির্বিশেষে সকলের স্বার্থে করে গেছেন বিগত দিনে হাইজাদী ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, পুল ও ব্রীজের ব্যাপক উন্নয়ন।এমনকি নিজস্ব অর্থায়নেও রাস্তাঘাট তৈরি করেছেন। নাগরিকত্ব সুবিধা সুনিশ্চিত করতে জন্ম নিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সার্টিফিকেট, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সর্বপ্রকার সুবিধা জনগণকে যথোপযুক্ত ভাবে দিতে চেষ্টা করেছেন। করোনাকালীন সময় যোদ্ধা হয়ে মানুষের পাশে ছিলেন।
তাছাড়াও আলি হোসেন ভূঁইয়ার বড় ভাই প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া জেলা পরিষদের আর্থিক অনুদান পাশ করিয়ে করে যাচ্ছেন নিরবে নিজ ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন। ইউনিয়নে বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুলে নানা ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা ও আর্থিক অনুদান তিনি বিগত সময়ে দিয়েছেন। এলাকার বিচার সালিশিতে ছিল তাদের নিরপেক্ষতার পরিচয়।কথায় বলতে গেলে হাইজাদী ইউনিয়নের ৯০% লোকের আস্থা আজও ধরে রেখেছেন আলি হোসেন ভূঁইয়া চেয়ারম্যান ও হাইজাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আইকন হিসেবে পরিচিত সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া। যার ফলে পুনরায় চেয়ারম্যান আলি হোসেন ভূঁইয়ার উপরই আস্থা রাখতে চান তৃণমূল। দেখতে চান চান চেয়ারম্যান হিসেবে।