নারায়ণগঞ্জ ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামেসহ অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ রাজনীতি না করেও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা আলমগীর

বিপজ্জনক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় শতাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর হামলায় সাতজন নিহত এবং অন্তত ১২ জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা,প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাড়াচ্ছে। অবিলম্বে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ দাবী জানান।

তারা বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা থামছেই না। অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের জেরে সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই গোলাগুলি ও খুনোখুনিতে লিপ্ত হচ্ছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অন্তত ১৪টি সন্ত্রাসী গ্রুপ নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডের মাস না পেরোতেই উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে আবারও খুনের ঘটনা ঘটেছে। যা বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।

নেতৃদ্বয় বলেন, এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে কতগুলো গ্রুপ সক্রিয় এবং কী পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে, সে বিষয়গুলো সরকারকে খুজে বের করতে হবে। এছাড়া কোন কোন অশুভশক্তি মদদ দিচ্ছে কিনা তাও খুঁজে বের করতে হবে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। তানা না হলে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ পরিনত বয়ে আনতে পারে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যত দেরি করবে, খুনসহ নানা সমস্যা তত বাড়বে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে, মিয়ানমার সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করে এ সমস্যা সমাধান করা।

তারা আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের অবস্থান আরও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি এখন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবর্তনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র স্থায়ী সমাধান। এত বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণের ভার বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল ও উন্নয়নশীল দেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বহন করবে, তা প্রত্যাশা করা যায় না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারকে দেশের ভিতর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে মায়নমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি

বিপজ্জনক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় শতাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর হামলায় সাতজন নিহত এবং অন্তত ১২ জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা,প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাড়াচ্ছে। অবিলম্বে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ দাবী জানান।

তারা বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা থামছেই না। অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের জেরে সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই গোলাগুলি ও খুনোখুনিতে লিপ্ত হচ্ছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অন্তত ১৪টি সন্ত্রাসী গ্রুপ নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডের মাস না পেরোতেই উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে আবারও খুনের ঘটনা ঘটেছে। যা বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।

নেতৃদ্বয় বলেন, এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে কতগুলো গ্রুপ সক্রিয় এবং কী পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে, সে বিষয়গুলো সরকারকে খুজে বের করতে হবে। এছাড়া কোন কোন অশুভশক্তি মদদ দিচ্ছে কিনা তাও খুঁজে বের করতে হবে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। তানা না হলে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ পরিনত বয়ে আনতে পারে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যত দেরি করবে, খুনসহ নানা সমস্যা তত বাড়বে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে, মিয়ানমার সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করে এ সমস্যা সমাধান করা।

তারা আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের অবস্থান আরও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি এখন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবর্তনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র স্থায়ী সমাধান। এত বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণের ভার বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল ও উন্নয়নশীল দেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বহন করবে, তা প্রত্যাশা করা যায় না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারকে দেশের ভিতর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে মায়নমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।