আড়াইহাজার প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন পর গঠিত হল আড়াইহাজার যুবদল এর আংশিক কমিটি।তবে কমিটি হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান তৃণমূল। এর পিছনেও রয়েছে অজানা রহস্য।কিন্তু বর্তমানে সময়ে তা স্বচ্ছ পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। এটি আসলে কোন কমিটি না।তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আংশিক কমিটির একটি খসড়া ভেসে বেড়ালেও তা মানতে নারাজ তৃণমূল। যা নিয়ে আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। এর পিছনের কারন অনুসন্ধানে প্রতিবেদক বের করে আনেন আসল রহস্য।
এত কিছু সত্ত্বেও ধরে নিয়ে যাক যুবদলের গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে জেলার প্যাড ছাড়াই সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক এর সাক্ষর বিহীন কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় বিভাগীয় টিম ও নীতিনির্ধারকেরা। কিন্তু এতে তৃণমূলের মনে আনন্দের চেয়ে হতাশা ও ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে বেশি।আড়াইহাজার বিএনপির নব্য কিং মেকার ও ঠকবাজ প্রতারকের ফরমায়েশকৃত কমিটি গঠনে তৃণমূলে বইছে নিন্দার ঝড়।
এদিকে জানাগেছে, গত কয়েকদিন আগে আড়াইহাজার উপজেলা, পৌরসভা ও গোপালদী পৌরসভা যুবদলের আংশিক কমিটি গঠনের অপপ্রচার চালায় খোদ দলের একটি ক্ষুদ্র অংশ।আংশিক এই কমিটির ছয়জন নেতাই আড়াইহাজার বিএনপির বিতর্কিত নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ের। যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক বিতর্কিত কর্মকান্ড এর অভিযোগ। সূত্র বলছে আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হিসেবে যার নাম অপপ্রচার করা হচ্ছে তিনি হলেন আওয়ামীলীগ ঘেঁষা যুবলীগের রাজনীতি করা কথিত যুবদল নেতা ভিপি কবির হোসেন।এমন অনেক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের ম্যানেজ করে যুবদলের কমিটিতে নিজের পছন্দের পদ বাগিয়ে নিয়ে আসলেও তৃণমূলে তার অবস্থান জিরো।তাছাড়া কবির দীর্ঘদিন ধরে থাকেন ঢাকার অদূরে সাভারে।এছাড়াও অভিযোগ আছে কমিটি পাওয়ার পরপরই সাক্ষাত করে আসেন স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু’র সঙ্গে। আর এমন খবরে ফুলে ফেঁপে উঠছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।ক্ষোভ ঝাড়ছেন নীতি নির্ধারকদের উপর।
অন্যদিকে আরোও জানাগেছে, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদল কমিটির সদস্য সচিব খোরশেদ মোল্লা একজন আজাদের লেজুরবৃত্তিক কর্মচারী।তৃনমূলের ভাষ্যমতে, খোরশেদ কোনদিন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না।তিনি আজাদের বদৌলতে যুবদলের হঠাৎ নেতা নামে পরিচিত।অনেকটা ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার এর মতো। বিগত দিনে যুবদলের কোন একটি কর্মসূচীর প্রোগ্রামে ছিলনা তার উপস্থিতি।খোরশেদকে ছাড়াও যুবদলকে ধ্বংশে সবচেয়ে ন্যাঙ্গারজনক কাজটি করেছেন নীতি নির্ধারকরা আড়াইহাজার পৌর যুবদলের কমিটিতে আল আমিনকে সদস্য সচিন হিসেবে এনে।যিনি দীর্ঘ ৭/৮বছর ধরে প্রবাসী জীবন যাপন করছেন।বর্তমানে সৌদি থেকেও পদের মালিক বনে যাওয়া আলামিনকে কোনক্রমেই মানতে পারছেন তৃণমূল। এছাড়াও একনেতার এক পদ নীতিকে উপেক্ষা করে মাহমুদুল্লাহ লিটনকে করা হয়েছে আহবায়ক।একই সঙ্গে রয়েছে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বহাল।এক কথায় বলতে গেলে অনৈতিক লেনদেনে নিজের স্বার্থ হাসিলে আড়াইহাজার যুবদলকে ধ্বংশের মিশনে নেমেছেন নীতিনির্ধারকরা। ঢেলে দিচ্ছেন দিচ্ছেন আড়াইহাজার যুবদলকে ধ্বংশের হাতে।এমন অবস্থায় তৃণমূল আড়াইহাজার যুবদল রক্ষার্থে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।নইলে আগামি দিনে আড়াইহাজার যুবদল যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে ধারণা করছেন তৃণমূল।