নারায়ণগঞ্জ ০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম

ইসি পুনর্গঠনের পূর্বে প্রয়োজন আইন প্রণয়ন : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৭২ বার পড়া হয়েছে

বর্তমানে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। কারণ তারা ক্ষমতায় আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) করতে সুনির্দিষ্ট আইন থাকার জরুরি বলে দাবী করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের যে ব্যবস্থা বর্তমান ইসি ও তার আগের ইসি নিয়োগের সময় নেওয়া হয়েছে, তা ইসি নিয়োগে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নের দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কারণ সরকারি দল তথা প্রধানমন্ত্রী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করবেন, রাষ্ট্রপতি তা-ই অনুমোদন করবেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সার্চ কমিটি যে সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে, তা দিবালোকের মতই স্পষ্ট। কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এসব পদে নিয়োগদানে কোনো স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য।

তারা আরো বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক ইসি নিয়োগে কোনো আইন প্রণীত না হওয়ায় স্বাধীনতার পর থেকে দলীয় সরকারগুলো জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য অধিকাংশ সময় তাদের দলীয় ভাবধারায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠন করেছে। তাছাড়া, ক্ষমতাসীন কোনো দলের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে সে দলের পরাজিত হওয়ার নজির নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিতর্কহীন, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের লক্ষে এই মুহুর্তে প্রয়োজন ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়ন। সকল রাজনৈতিক দলের উচিত হবে ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নে সম্মিলিতভাবে জোর দাবি উত্থাপন করা। দেশবাসী বিশ্বাস করতে চায়, শাসক দল আওয়ামী লীগও আইনটি প্রণয়নে এগিয়ে আসবে। এতে তাদের দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট

ইসি পুনর্গঠনের পূর্বে প্রয়োজন আইন প্রণয়ন : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৬:৪০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বর্তমানে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। কারণ তারা ক্ষমতায় আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) করতে সুনির্দিষ্ট আইন থাকার জরুরি বলে দাবী করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের যে ব্যবস্থা বর্তমান ইসি ও তার আগের ইসি নিয়োগের সময় নেওয়া হয়েছে, তা ইসি নিয়োগে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নের দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কারণ সরকারি দল তথা প্রধানমন্ত্রী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করবেন, রাষ্ট্রপতি তা-ই অনুমোদন করবেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সার্চ কমিটি যে সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে, তা দিবালোকের মতই স্পষ্ট। কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এসব পদে নিয়োগদানে কোনো স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য।

তারা আরো বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক ইসি নিয়োগে কোনো আইন প্রণীত না হওয়ায় স্বাধীনতার পর থেকে দলীয় সরকারগুলো জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য অধিকাংশ সময় তাদের দলীয় ভাবধারায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠন করেছে। তাছাড়া, ক্ষমতাসীন কোনো দলের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে সে দলের পরাজিত হওয়ার নজির নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিতর্কহীন, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের লক্ষে এই মুহুর্তে প্রয়োজন ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়ন। সকল রাজনৈতিক দলের উচিত হবে ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নে সম্মিলিতভাবে জোর দাবি উত্থাপন করা। দেশবাসী বিশ্বাস করতে চায়, শাসক দল আওয়ামী লীগও আইনটি প্রণয়নে এগিয়ে আসবে। এতে তাদের দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।