নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ফতুল্লায় মেসার্স দিপ্তি ডাইং এন্ড নিট ফিনিশিং মিলস্ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন অংশীদার মো: মিজানুর রহমান। প্রাপ্য অর্থ না দিয়েই তাকে অংশীদারিত্ব থেকে বাদ দিতে অন্য জেলার একজন এমপির নাম ভাঙিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ও থানায় অভিযোগ করে হয়রানী করা হচ্ছে বলে বুধবার বেলা ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ উত্থাপন করেন মিজানুর রহমান। পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেন ফতুল্লা থানার ওসি রকিবুজ্জামান।
সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন,কারখানায় আমার দশ পারসেন শেয়ার রয়েছে। কারখানার ১২ কোটি টাকা ব্যাংক লোন পরিশোধ না করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম টিপু নামে বে-নাবে একাধিক বাড়ী, মার্কেট ও জমি কিনেছে। কারখানার সব হিসাব-নিকাশ নিজে এককভাবে নিয়ন্ত্রন করছে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমার প্রাপ্য না দিয়েই আমাকে কারখানার অংশীদারিত্ব থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। নিজের প্রাপ্য বুঝে পেতে আমি গত এক আগস্ট তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এখবর পেয়ে একই দিন তিনিও আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। তার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করতে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টিপু থানার ওসিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ এই রফিকুল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে ফতুল্লায় থানায় দুইটি মামলা রয়েছে। যার একটি এসিড অপরাধ দমন আইনে করা হয়। দুইটি মামলাই আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এমন একজন অপরাধির সঙ্গে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সখ্যতা থাকা কাম্যনয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিজানুর রহমান।
ফতুল্লা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে থানায় দুইটি মামলা হয়। যার এফ আই আর নম্বর ৪৭(১)২০১৮ ও ১(১০)২০১৯।
সাংবাদিক সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ বিষয়ে মো: রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
ফতুল্লা থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, মো: রফিকুল ইসলাম টিপু নামের কোন লোক মো: মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগই করেনি। তাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক প্রভাবে মামলা রুজুর প্রশ্নই উঠেনা। মিজানুর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর অভিযোগ তুলেছেন।