নারায়ণগঞ্জ ০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম সৌদিতে প্রবাসী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা সিদ্ধিরগঞ্জে সানারপাড় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ৫৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা সোনারগাঁওয়ে গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের শুভ উদ্বোধন

ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ নিম্নবিত্ত মানুষের জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের নিশ্চয়তা না থাকেলে সরকার ঘোষিত লকডাউন বা কঠোর লকডাউন কোনটাই কার্যকর হবে না। জনগনকে ঘরবন্দি করার আগে দরকার খাদ্যের নিশ্চয়তা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছেন, প্রান্তিক মানুষদের খুবই সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের ক্ষুধা দূর করা না গেলে ভয় দেখিয়ে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না। লকডাউন সফল করতে হলে অভাবি মানুষের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা পৌঁছাতে হবে।

সোমবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, করোনার প্রথম বছরের ক্ষয়ক্ষতি এখনও সাধারন মানুষ সামলে উঠতে পারে নাই। এর মধ্যে দ্বীতিয় ঠেউ সাধারন মানুষকে অসহায় করে তুলেছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে সাধারন মানুষ। নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এ সময়টায় চলা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষেও কিন্তু সবার জন্য খাদ্যের যোগান দেওয়া কোন ব্যবস্থা হয়েছে বলে কারো জানা নাই। তবে, লকডাউন কার্যকর করতে হলে খেটে খাওয়া দিনমজুর, বাসের হেলপার, রিকশাওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের সহায়তা দিতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, লকডাউন ঘোষনার মধ্যে আবার কলকারখানা, গার্মেন্টস, সরকারি বেসরকারি সব অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ। এর চেয়ে অমানবিকতা, নির্মমতা আর কি হতে পারে? যারা এই ঘোষণা দিয়েছে তারা না হয় ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েন। কিন্তু, গার্মেন্টস কর্মী, কারখানার শ্রমিক, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী তারা যাওয়া আসা করবে কিভাবে ? সরকার মুলত কারখানা, গার্মেন্টস মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সব খোলা রাখছেন, কিন্তু শ্রমিকদের বুকে লাথি মেরে।

তারা আরো বলেন, মালিকরা ঠিকই গাড়ি চড়ে গিয়ে কোন শ্রমিক সময়মত কাজে যোগ দেয়নি তার হিসেব করে বেতন কাটা শুরু করবে। আর চাকরি বাচানোর দায়ে শ্রমিকরা পায়ে হেটে, ঘরভাড়ার টাকা থেকে কয়েকগুন বেশী রিক্সা ভাড়ায় কারখানায় যোগ দিবে। জনমনে প্রশ্ন যারা এসব প্রজ্ঞাপন লিখেন তারা কি আসলে মানুষের কথা ভাবেন ? তারা কি এসব বুঝেন না ? নাকি সব জেনে বুঝে শুনেও তামশা করেন ? জনগনের সাথে মষ্করা করাই কি তাদের কাজ ?

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, যারা প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন তারা যুক্তি দিতে পারেন রিকশা তো চলবে। কিন্তু, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন যাত্রাবাড়ি থেকে পল্টন বা মতিঝিল রিকশা ভাড়া কত? আর সাধারন মানুষের আয় কত ? সাধারন ও নি¤œ আয়ের মানুষরা যদি দিনে ১৫০/২০০ টাকা রিকশা ভাড়াই দেন তাহলে তারা চাল কিনবে কি দিয়ে, সংসারের অন্যান্য খরচ কিভাবে মিটাবে?

তারা বলেন, সবার আগে প্রয়োজন শতভাগ মাস্ক পড়া নিশ্চিত করা। সরকারকে মনে রাখতে হবে, ঘরে খাবার না থাকলে, বাচ্চা দুধের জন্য কাঁদলে লকডাউন, শাটডাউন দিয়ে কিছুই হবে না। মানুষ ঘরের বাইরে যাবেই। দু:খজনক হলেও সত্য যে, করোনার এই ভয়াবহতা মোকাবেলা করতে সরকার আজ পর্যন্ত কোন কার্যকরী এবং জনবান্ধব পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বার বার। তাদের সকল সিদ্ধান্ত হঠকারিতা আর সমন্বয়হীনতা। সকালে এক ঘোষণা তো বিকালে আরেক। রাজনীতিবিদ আর জনপ্রতিনিধিদের দূরে রেখে আমলা দিয়ে দেশ পরিচালনার ফলেই এই অবস্থা। এই সর্বগ্রাসী যুদ্ধটা স্বার্থপর, জনবিচ্ছিন্ন আমলাদের দিয়ে মোকাবিলা করা বা জয় করা কোনোভাবেই সম্ভব না। সরকার যত দ্রæত এই সত্যিটা অনুধাবন করবে ততই মঙ্গল।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা

ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ নিম্নবিত্ত মানুষের জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের নিশ্চয়তা না থাকেলে সরকার ঘোষিত লকডাউন বা কঠোর লকডাউন কোনটাই কার্যকর হবে না। জনগনকে ঘরবন্দি করার আগে দরকার খাদ্যের নিশ্চয়তা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছেন, প্রান্তিক মানুষদের খুবই সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের ক্ষুধা দূর করা না গেলে ভয় দেখিয়ে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না। লকডাউন সফল করতে হলে অভাবি মানুষের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা পৌঁছাতে হবে।

সোমবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, করোনার প্রথম বছরের ক্ষয়ক্ষতি এখনও সাধারন মানুষ সামলে উঠতে পারে নাই। এর মধ্যে দ্বীতিয় ঠেউ সাধারন মানুষকে অসহায় করে তুলেছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে সাধারন মানুষ। নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এ সময়টায় চলা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষেও কিন্তু সবার জন্য খাদ্যের যোগান দেওয়া কোন ব্যবস্থা হয়েছে বলে কারো জানা নাই। তবে, লকডাউন কার্যকর করতে হলে খেটে খাওয়া দিনমজুর, বাসের হেলপার, রিকশাওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের সহায়তা দিতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, লকডাউন ঘোষনার মধ্যে আবার কলকারখানা, গার্মেন্টস, সরকারি বেসরকারি সব অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ। এর চেয়ে অমানবিকতা, নির্মমতা আর কি হতে পারে? যারা এই ঘোষণা দিয়েছে তারা না হয় ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েন। কিন্তু, গার্মেন্টস কর্মী, কারখানার শ্রমিক, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী তারা যাওয়া আসা করবে কিভাবে ? সরকার মুলত কারখানা, গার্মেন্টস মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সব খোলা রাখছেন, কিন্তু শ্রমিকদের বুকে লাথি মেরে।

তারা আরো বলেন, মালিকরা ঠিকই গাড়ি চড়ে গিয়ে কোন শ্রমিক সময়মত কাজে যোগ দেয়নি তার হিসেব করে বেতন কাটা শুরু করবে। আর চাকরি বাচানোর দায়ে শ্রমিকরা পায়ে হেটে, ঘরভাড়ার টাকা থেকে কয়েকগুন বেশী রিক্সা ভাড়ায় কারখানায় যোগ দিবে। জনমনে প্রশ্ন যারা এসব প্রজ্ঞাপন লিখেন তারা কি আসলে মানুষের কথা ভাবেন ? তারা কি এসব বুঝেন না ? নাকি সব জেনে বুঝে শুনেও তামশা করেন ? জনগনের সাথে মষ্করা করাই কি তাদের কাজ ?

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, যারা প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন তারা যুক্তি দিতে পারেন রিকশা তো চলবে। কিন্তু, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন যাত্রাবাড়ি থেকে পল্টন বা মতিঝিল রিকশা ভাড়া কত? আর সাধারন মানুষের আয় কত ? সাধারন ও নি¤œ আয়ের মানুষরা যদি দিনে ১৫০/২০০ টাকা রিকশা ভাড়াই দেন তাহলে তারা চাল কিনবে কি দিয়ে, সংসারের অন্যান্য খরচ কিভাবে মিটাবে?

তারা বলেন, সবার আগে প্রয়োজন শতভাগ মাস্ক পড়া নিশ্চিত করা। সরকারকে মনে রাখতে হবে, ঘরে খাবার না থাকলে, বাচ্চা দুধের জন্য কাঁদলে লকডাউন, শাটডাউন দিয়ে কিছুই হবে না। মানুষ ঘরের বাইরে যাবেই। দু:খজনক হলেও সত্য যে, করোনার এই ভয়াবহতা মোকাবেলা করতে সরকার আজ পর্যন্ত কোন কার্যকরী এবং জনবান্ধব পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বার বার। তাদের সকল সিদ্ধান্ত হঠকারিতা আর সমন্বয়হীনতা। সকালে এক ঘোষণা তো বিকালে আরেক। রাজনীতিবিদ আর জনপ্রতিনিধিদের দূরে রেখে আমলা দিয়ে দেশ পরিচালনার ফলেই এই অবস্থা। এই সর্বগ্রাসী যুদ্ধটা স্বার্থপর, জনবিচ্ছিন্ন আমলাদের দিয়ে মোকাবিলা করা বা জয় করা কোনোভাবেই সম্ভব না। সরকার যত দ্রæত এই সত্যিটা অনুধাবন করবে ততই মঙ্গল।