নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : চলতি বছরের ২৮ মার্চ হরতালের সময় নারায়ণগঞ্জে নাশকতাকারীদের সাথে কেন্দ্রীয় হেফাজতের নেতারাও ছিলেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে উপস্থিত নেতাদের কার নাম কী, কে কোন পদে আছেন তা নিশ্চিত করেছেন। আর এতে সহযোগিতা করেছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক নিজেই। এমনটাই জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম। তার বিরুদ্ধে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নার দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার ( ৬ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৬ মামলায় ১৮ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমকে জানান। তিনি আরও জানান, সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত সংঘর্ষের নেপথ্য নায়ক ছিলেন মামুনুল।
এ ছাড়া মামুনুল হক যে সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্ট যে নারীকে নিয়ে এসেছিলেন ওই নারীকে শরীয়ত বা রাষ্ট্রীয় কোনো আইনে বৈধভাবে বিয়ে করেছেন তার কোনো সঠিত তথ্য বা প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে জানালেও বিয়ের কোনো কাবিননামা, স্বাক্ষী, দেনমোহার বা সাদা কাগজে কোনো প্রকার লিখিত দেখাতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
‘মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের দেখিয়ে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন হেফাজত নেতারা’
গত ১২ মে সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণ ও সহিংসতার চারটিসহ পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিটি মামলায় তিনদিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পরে ১৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মামলার আরো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ৩০ এপ্রিল সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ।