নারায়ণগঞ্জ ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন ‘বিএনপির সাইনবোর্ডে’ সোনারগাঁয়ে চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা

মাদকের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ!

শহর প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া কলেজ রোডের বিভিন্ন অলিগলিতে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করছেন। এইসব মাদকে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন ভাগিনা মামুন, নাদিম, রাসেল, মিজান মিয়া, সোহাগ, রনিসহ আরো অনেকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে যিনি একজন চা বিক্রেতা ছিলেন তিনিও জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা নামক মরণঘাতী নেশার সঙ্গে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই চা বিক্রি করে আর কতটাকা ইনকাম করা যায়! সর্বোচ্চ ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। আর কয়েক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করলে হাজার টাকা ইনকাম হয়। তাছাড়া এই এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতে দূর-দুরান্ত থেকে আসেই অধিকাংশ যুবকরা মাদক কিনতে। কেউ কিনে এখানেই সেবন করে।কেউবা নিয়ে যায় তাদের নিজস্ব গন্তব্য স্থানে। তাদের বিভিন্ন রকমের মাদক কেনার ভরসাই এখন কলেজ রোড।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানদার এ প্রতিবেদককে বলেন, “ভাই গত কয়েক বছরে এতো রমরমা মাদক ব্যবসা এই এলাকায় দেখা যায়নি।এখন যতটা দেখা যায়। এই এলাকার অধিকাংশ যুবকদের এখন ইয়াবা ট্যাবলেট নামক মরণঘাতী নেশা লাগে। রাত যতই ঘনিয়ে আসতে শুরু করে। ততই মনে হয় সকাল হতে থাকে।”

ইয়াসিন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই এলাকার রিকসার গ্যারেজ থেকে শুরু করে একটু খালি জায়গা পেলেই রাতের অন্ধকারে জমে উঠে নেশার উৎসব। এই এলাকায় পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য কর্মকর্তারা তেমন একটা টহল দেয়না। এই জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা এইসব এলাকাগুলোকে টার্গেট করে হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করছে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কলেজ রোডের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “গত কিছু দিন আগে টিভিতে একটি ভিডিও দেখেছি কারওয়ান বাজার এলাকায় কিভাবে মাদক বিক্রি করছেন। বর্তমানে আমাদের এলাকাতেও একই রকমভাবে বিভিন্ন রকমের মাদক অলি-গলিতে বিক্রি করছেন। এমন প্রকাশ্যভাবে করছেন যেন কারওয়ান বাজারের চিত্রকেও হার মানাবে কলেজ রোডের মাদক ব্যবসীরা।”

এই বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের বিন্দু পরিমান কোন ছাড় দেওয়া হবে না। মাদককে কোন সচেতন মানুষ পছন্দ করে তাই। মাদকে সবাই বয়কট করছে। এই মাদকের জন্য যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনি বিষয়টি যেহেতু জানালেন আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন

মাদকের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ!

আপডেট সময় : ০৪:২২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১

শহর প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া কলেজ রোডের বিভিন্ন অলিগলিতে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করছেন। এইসব মাদকে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন ভাগিনা মামুন, নাদিম, রাসেল, মিজান মিয়া, সোহাগ, রনিসহ আরো অনেকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে যিনি একজন চা বিক্রেতা ছিলেন তিনিও জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা নামক মরণঘাতী নেশার সঙ্গে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই চা বিক্রি করে আর কতটাকা ইনকাম করা যায়! সর্বোচ্চ ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। আর কয়েক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করলে হাজার টাকা ইনকাম হয়। তাছাড়া এই এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতে দূর-দুরান্ত থেকে আসেই অধিকাংশ যুবকরা মাদক কিনতে। কেউ কিনে এখানেই সেবন করে।কেউবা নিয়ে যায় তাদের নিজস্ব গন্তব্য স্থানে। তাদের বিভিন্ন রকমের মাদক কেনার ভরসাই এখন কলেজ রোড।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানদার এ প্রতিবেদককে বলেন, “ভাই গত কয়েক বছরে এতো রমরমা মাদক ব্যবসা এই এলাকায় দেখা যায়নি।এখন যতটা দেখা যায়। এই এলাকার অধিকাংশ যুবকদের এখন ইয়াবা ট্যাবলেট নামক মরণঘাতী নেশা লাগে। রাত যতই ঘনিয়ে আসতে শুরু করে। ততই মনে হয় সকাল হতে থাকে।”

ইয়াসিন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই এলাকার রিকসার গ্যারেজ থেকে শুরু করে একটু খালি জায়গা পেলেই রাতের অন্ধকারে জমে উঠে নেশার উৎসব। এই এলাকায় পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য কর্মকর্তারা তেমন একটা টহল দেয়না। এই জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা এইসব এলাকাগুলোকে টার্গেট করে হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করছে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কলেজ রোডের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “গত কিছু দিন আগে টিভিতে একটি ভিডিও দেখেছি কারওয়ান বাজার এলাকায় কিভাবে মাদক বিক্রি করছেন। বর্তমানে আমাদের এলাকাতেও একই রকমভাবে বিভিন্ন রকমের মাদক অলি-গলিতে বিক্রি করছেন। এমন প্রকাশ্যভাবে করছেন যেন কারওয়ান বাজারের চিত্রকেও হার মানাবে কলেজ রোডের মাদক ব্যবসীরা।”

এই বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের বিন্দু পরিমান কোন ছাড় দেওয়া হবে না। মাদককে কোন সচেতন মানুষ পছন্দ করে তাই। মাদকে সবাই বয়কট করছে। এই মাদকের জন্য যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনি বিষয়টি যেহেতু জানালেন আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”