নারায়ণগঞ্জ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

শারুনের ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়ন করেছে নুসরাত?

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: গুলশানের একটি ফ্লাটে মুনিয়ার মৃত্যুরহস্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে। তার এই আত্মহত্যার ঘটনার পর যে অপমৃত্যুর মামলা ও নাটক সাজানো হয়েছে, সেটির পেছনে চট্টগ্রামের সাবেক হুইপ সামসুল হক চৌধুরীর পুত্র নাজমুল করিম শারুনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শুরুতেই বলেছিলো যে শারুনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবে।অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, নুসরাতের অতিউৎসাহ এবং সরাসরি বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ইত্যাদি সবই হয়েছে শারুনের প্ররোচনায় এবং নির্দেশনায়। আর এই ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য উপাত্ত এখন সামনে চলে আসছে। মুনিয়ার সঙ্গে শারুনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিলো এবং মুনিয়া শারুনকে ব্যবহার করতেন। এই ব্যবহারের বিষয়টি মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়াও জানতেন।

নুসরাত তানিয়াকে দিয়েই শারুন তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। শারুন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মুখে ছিলেন। বিশেষ করে একজন ব্যাংক কর্মর্তার আত্মহত্যা নিয়ে সারা দেশে যখন তোলপাড় তখন ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী সন্তান যখন ঢাকায় এসে বিচার দাবি করলেন তখন শারুনের অবস্থা অত্যন্ত বেগতিক। আর এ কারণে যেসব গণমাধ্যম এ ব্যাপারে সোচ্চার তাদেরকে একহাত দেখে নেয়ার নীলনকশা করেন শারুন, এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে অনুন্ধানে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে নুসরাত, শারুন, মুনিয়ার ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিলো। মুনিয়া যখন আত্মহত্যা করে তখন এই আত্মহত্যাকে কাজে লাগিয়ে তার প্রতিপক্ষকে, যারা তার ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করেছে তাদেরকে ফাঁসিয়ে দেয়ার এক নীলনকশা গ্রহণ করেন।

যদি নুসরাতের স্বামীর কললিস্ট দেখা যায় তাহলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসবে। অনেকে মনে করছেন যখন মুনিয়া আত্মহত্যা করলো তখনই নুসরাতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন শারুন। তখনই এই আত্মহত্যার জন্য বসুন্ধরার এমডিকে সরাসরি অভিযুক্ত করে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মারা যাবে বলে এই পরিকল্পনা এটেছিলেন শারুন। এ কারণে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় সরাসরি একজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দিয়েছেন। সাধারণত আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় কোনো ব্যক্তির নাম থাকে না, বলা হয় যে কেউ হয়তো প্ররোচনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে এই ঘটনার ব্যত্যয় ঘটেছে। নুসরাত মুনিয়ার মৃত্যুর পর থানায় ‍গিয়ে সরাসরি তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। অনেকে প্রশ্ন করেছেন নুসরাত যে থানায় গেলেন তখন দামি গাড়ি এই গাড়িগুলো কার। বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে এই গাড়িগুলো শারুনই সরবরাহ করেছিলো ।

একাধিক সূত্র বলছে, শারুনের সঙ্গে মুনিয়ার যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কের ফায়দা নিতেন নুসরাত এবং নুসরাত নানা কারণে শারুনের কাছে দায়বদ্ধ ছিলো। এ কারণে মুনিয়াকে ব্যাপকভাবে চাপ দিয়েছিলো শারুন। আর সে কারণে মুনিয়ার মৃত্যু হয় কি না বা আত্মহত্যা করে কি না সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ নিয়ে মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সুবজ একটি মামলা করেছেন যে শারুনের লোকজন মুনিয়াকে হত্যা করেছে। হত্যা করুক বা আত্মহত্যা করুক সেটি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু নুসরাত ঢাকায় আাসর পর তার সঙ্গে শারুনের একাধিকবার কথোপেকথন হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে নুসরাতের স্বামীর টেলিফোন লিস্ট খতিয়ে দেখলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। শারুন নিজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা আড়াল করার জন্যই বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্যই নুসরাতকে ব্যবহার করেছেন। আর এর বিনিময়ে নুসরাত কি লাভবান হয়েছেন সেটি নিয়েও তদন্ত করা দরকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
সূত্র: বিজনেস বাংলাদেশ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

শারুনের ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়ন করেছে নুসরাত?

আপডেট সময় : ০৩:২২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

অনলাইন ডেস্ক: গুলশানের একটি ফ্লাটে মুনিয়ার মৃত্যুরহস্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে। তার এই আত্মহত্যার ঘটনার পর যে অপমৃত্যুর মামলা ও নাটক সাজানো হয়েছে, সেটির পেছনে চট্টগ্রামের সাবেক হুইপ সামসুল হক চৌধুরীর পুত্র নাজমুল করিম শারুনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শুরুতেই বলেছিলো যে শারুনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবে।অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, নুসরাতের অতিউৎসাহ এবং সরাসরি বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ইত্যাদি সবই হয়েছে শারুনের প্ররোচনায় এবং নির্দেশনায়। আর এই ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য উপাত্ত এখন সামনে চলে আসছে। মুনিয়ার সঙ্গে শারুনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিলো এবং মুনিয়া শারুনকে ব্যবহার করতেন। এই ব্যবহারের বিষয়টি মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়াও জানতেন।

নুসরাত তানিয়াকে দিয়েই শারুন তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। শারুন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মুখে ছিলেন। বিশেষ করে একজন ব্যাংক কর্মর্তার আত্মহত্যা নিয়ে সারা দেশে যখন তোলপাড় তখন ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী সন্তান যখন ঢাকায় এসে বিচার দাবি করলেন তখন শারুনের অবস্থা অত্যন্ত বেগতিক। আর এ কারণে যেসব গণমাধ্যম এ ব্যাপারে সোচ্চার তাদেরকে একহাত দেখে নেয়ার নীলনকশা করেন শারুন, এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে অনুন্ধানে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে নুসরাত, শারুন, মুনিয়ার ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিলো। মুনিয়া যখন আত্মহত্যা করে তখন এই আত্মহত্যাকে কাজে লাগিয়ে তার প্রতিপক্ষকে, যারা তার ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করেছে তাদেরকে ফাঁসিয়ে দেয়ার এক নীলনকশা গ্রহণ করেন।

যদি নুসরাতের স্বামীর কললিস্ট দেখা যায় তাহলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসবে। অনেকে মনে করছেন যখন মুনিয়া আত্মহত্যা করলো তখনই নুসরাতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন শারুন। তখনই এই আত্মহত্যার জন্য বসুন্ধরার এমডিকে সরাসরি অভিযুক্ত করে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মারা যাবে বলে এই পরিকল্পনা এটেছিলেন শারুন। এ কারণে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় সরাসরি একজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দিয়েছেন। সাধারণত আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় কোনো ব্যক্তির নাম থাকে না, বলা হয় যে কেউ হয়তো প্ররোচনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে এই ঘটনার ব্যত্যয় ঘটেছে। নুসরাত মুনিয়ার মৃত্যুর পর থানায় ‍গিয়ে সরাসরি তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। অনেকে প্রশ্ন করেছেন নুসরাত যে থানায় গেলেন তখন দামি গাড়ি এই গাড়িগুলো কার। বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে এই গাড়িগুলো শারুনই সরবরাহ করেছিলো ।

একাধিক সূত্র বলছে, শারুনের সঙ্গে মুনিয়ার যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কের ফায়দা নিতেন নুসরাত এবং নুসরাত নানা কারণে শারুনের কাছে দায়বদ্ধ ছিলো। এ কারণে মুনিয়াকে ব্যাপকভাবে চাপ দিয়েছিলো শারুন। আর সে কারণে মুনিয়ার মৃত্যু হয় কি না বা আত্মহত্যা করে কি না সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ নিয়ে মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সুবজ একটি মামলা করেছেন যে শারুনের লোকজন মুনিয়াকে হত্যা করেছে। হত্যা করুক বা আত্মহত্যা করুক সেটি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু নুসরাত ঢাকায় আাসর পর তার সঙ্গে শারুনের একাধিকবার কথোপেকথন হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে নুসরাতের স্বামীর টেলিফোন লিস্ট খতিয়ে দেখলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। শারুন নিজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা আড়াল করার জন্যই বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্যই নুসরাতকে ব্যবহার করেছেন। আর এর বিনিময়ে নুসরাত কি লাভবান হয়েছেন সেটি নিয়েও তদন্ত করা দরকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
সূত্র: বিজনেস বাংলাদেশ।