কামরুজ্জামান (শাওন ) : সৌদি আরবে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য জাতীয় কমিটির সুপারিশ এবং এখন পর্যন্ত যারা বাকি আছে তাদের কভার করে অগ্রগতির ভিত্তিতে শিডিউল নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে তারা জাতীয় কমিটির সুপারিশ এবং সমাজের বিভিন্ন অংশকে আওতায় নিয়ে আসবে এবং সেই সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য সকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনরায় নির্ধারণ করবে।
এর ফলে “সেহাটি” অ্যাপের মাধ্যমে আর কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
অন্যদিকে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিভিন্ন শহরে করোনা প্রতিরোধে জারি করা সতর্কতা ঠিকমতো মেনে না চলা হলে শহরব্যাপি কোয়ারান্টাইন জারি করা হবে।
সম্প্রতি সারাদেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এরকম সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় এর মুখপাত্র, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তালাল আল-শালহুব জানান, সম্প্রতি সমগ্র সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং দিনদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকা গুরুত্বর রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এমতাবস্থায়ও সকলের অসচেতনতার কারনে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের পরিমান বেড়েই চলেছে।
এভাবেই অসচেতনতা চলতেই থাকলে বেশকিছু শহর কোয়ারান্টাইন এবং সম্পূর্ণ কঠোর লকডাউন জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন এলাকা এবং শহর সম্পূর্ণ আইসোলেশন এবং কোয়ারান্টাইনে রাখা হতে পারে, এবং সকল প্রকার চলাফেরা এবং যোগাযোগমাধ্যম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হতে পারে। এবং এর পেছনে সকলের অসচেতনতাই দায়ী থাকবে।
সরকার এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যেগ নেয়া হলেও এবং বিভিন্ন সতর্কতা এবং নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেক এলাকাতেই মানুষজন এসকল সচেতনতা মানছেন না, এবং করোনাভাইরাসকে দায়সারাভাবে গণ্য করছেন।
নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এবং কমিটি সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা নির্দেশনা না মেনে চলা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের শনাক্তে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে, এবং নিয়ম অমান্যকারী সকলকে জরিমানা এবং শাস্তি দেয়া হবে। তবে, এভাবেই অসচেতনতা চলতে থাকলে সম্পূর্ণ আইসোলেশনে যেতে বাধ্য হবে সরকার।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সকল প্রকার সচেতনতা এবং নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যদি কেউ মেডিকেল আইসোলেশন এবং কোয়ারান্টাইন এর নির্দেশ এবং নিয়ম অমান্য করেন, তবে তাকে সর্বোচ্চ ২ লাখ রিয়াল জরিমানা অথবা সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড, অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
দ্বিতীয়বার মতো একই অপরাধ করে থাকলে শাস্তির পরিমান দ্বিগুন হবে।
উল্লেখ্য যে গবেষকরা দাবী করেছেন করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে মূলত বাতাসের মাধ্যমে। জানা যায়, ইতিমধ্যেই বায়ু থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছে গবেষকদের দল। সেখানে তাদের সুপার স্প্রেডার-এর তালিকায় ‘Skagit Choir Outbreak’-কে প্রধানভাবে দায়ী করা হয়েছে।
সূত্র : সৌদি গেজেট