নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন ‘বিএনপির সাইনবোর্ডে’ সোনারগাঁয়ে চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক গ্রেফতার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের যৌথ অভিযানে মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামুনুল হক ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের শতাধিক পুলিশ প্রথমে ওই মাদ্রাসাটা ঘিরে ফেলে। এ সময় মাদ্রাসার ভেতরে দেড় শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অবস্থান করছিল। পুলিশের অভিযানে প্রথমে তারা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত পুলিশ দেখে হাল ছেঁড়ে দেয়। পরে মামুনুল হককে দোতালার ওই কক্ষ থেকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। প্রথমে তাকে মিরপুর সড়কে পুলিশের তেজগাঁও ডিভিশনের ডিসি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়ও সহিংসতা করায় একাধিক মামলায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে। প্রথমে তাকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পরে একে একে সব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের যৌথ অভিযানে মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামুনুল হক ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের শতাধিক পুলিশ প্রথমে ওই মাদ্রাসাটা ঘিরে ফেলে। এ সময় মাদ্রাসার ভেতরে দেড় শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অবস্থান করছিল। পুলিশের অভিযানে প্রথমে তারা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত পুলিশ দেখে হাল ছেঁড়ে দেয়। পরে মামুনুল হককে দোতালার ওই কক্ষ থেকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। প্রথমে তাকে মিরপুর সড়কে পুলিশের তেজগাঁও ডিভিশনের ডিসি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়ও সহিংসতা করায় একাধিক মামলায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে। প্রথমে তাকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পরে একে একে সব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।