সাইফুল রাজীব : নতুন করে বাংলাদেশ সহ ১৫ টি সোর্স কান্ট্রি থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেওয়ার নীতিমালা চুড়ান্ত করেছে মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগ। এই নীতিমালার আওতায় দেশটির ৩ টি সেক্টরে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে সেই বিষয়ে কিছু বলেন নি।
এই সেক্টর গুলো অধিক পরিশ্রম ও ঝুকিপূর্ন বিধায় স্থানীয় মালয়েশিয়ানরা কাজ করে না। সেক্টরগুলো হচ্ছে পামতেল শিল্প,প্লানটেশন ও কনস্ট্রাকশন। এসব সেক্টরের কাজ নোংরা, কঠিন ও ঝুকিপূর্ন। প্রত্যেক শ্রমিক সর্ব্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
শুক্রবার(২৬ মার্চ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে এসব কথা বলেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতোক সেরী খায়রুল দাযামি দাউদ। তিনি আরো বলেন, বিদেশী কর্মীদের এদেশে স্থায়ী হতে দেওয়া হবে না। তাদের ১০ বছর মেয়াদী ভিসা দেওয়া হবে যা প্রতি বছর রিনিউ করে নিতে হবে।
যদি কারো ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে এদেশে থাকার কোন সুযোগ নেই। ১০ বছর মেয়াদ শেষে তাদের কে অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যে দেশগুলো কে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অভিহিত করে শ্রমিক নেওয়ার ঘোষনা দিলেন সেগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, কাজাখস্তান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত।
খায়রুল আরও জানান, ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন শ্রমিক বৈধভাবে কাজ করছে। অবৈধদের রিক্যালিব্রেশন (পূনঃ বৈধকরণ) এর মাধ্যমে বৈধতার সুযোগ নিতে হবে অথবা নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। নিয়মিত অবৈধদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
যারা মালয়েশিয়ায় বৈধ ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করছেন তাদের কে হুশিয়ার করে বলেন, এদেশের সংবিধান ও অভিবাসন আইন মেনেই কাজ করতে যদি এর লংগন করা হয় তাহলে ভিসা বাতিল সহ জেল জরিমানা এমনকি নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। করোনার ছোবলে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি বড়সর ধাক্কা খেয়েছে এবং পাশাপাশি এখন শ্রমিক সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় লকডাউন শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে অর্থনীতি পূনরুদ্ধারের আপ্রান চেষ্ঠা করছে দেশটির সরকার।