অনলাইন ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের জুরু আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২)।
এ ঘটনায় আহত কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মানুন তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
জানা যায়, বিকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে হেফাজত সমর্থকরা। সন্ধ্যা ছয়টায় দিকে অবরোধকারীদের সড়ক থেকে সরাতে অ্যাকশনে যায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে আহতদের বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান।
এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের প্রতিবাদ করে আসছিল হেফাজতে ইসলাম ও কয়েকটি বামপন্থি দল। ২৬ মার্চ (শুক্রবার) সুবর্ণজয়ন্তীর দিনও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চালানো হয়। এর মধ্যে শহরের বঙ্গুবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর মুর্যালেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেখানে গুলিতে আহত হয়ে একজন মারা যান।