নারায়ণগঞ্জ সংবাদ : মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নারায়নগঞ্জের জনজীবন। এ যেন এক মশার রাজ্য। শীত শেষে গরমের শুরুতেই ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার বিস্তার। মশার কামড়ে শুধু রাতে নয় দিনের আলোতেও যেন নাজেহাল নগরবাসী মানুষ।তা ই মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি মুহুর্তে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
অপরদিকে সন্ধ্যা হতে না হতেই মশার উপদ্রপ তীব্র আকার ধারন করে। মশা নিধনে সিটি কপোরেশনের পক্ষ থেকে চোখে পড়ার মতো কার্যকরি কোনো প্রদক্ষেপ নেই।
সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মশার যন্ত্রনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মশার উপদ্রপ এতোই বেড়েছে যে আমাদের দৈনন্দিন কাজ করাটাই যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কয়েল, স্প্রে, মশারি টানিয়ে যেন মশার কামড় থেকে পরিত্রাণ মিলছে না।
এদিকে মশার যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক সংগঠন গুলো ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদের মধ্যে ফেসবুক ২৪ গ্রুপের এডমিন আশিক মাহমুদ জানান, স্বরণকালের সবচেয়ে বেশী মশার আক্রমন নারায়নগঞ্জবাসির। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড মাননীয় মেয়র আইভীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। তার কার্যক্রমে যেন আমরা নগরবাসি মশার আক্রমন থেকে কিছুটা হলেও লাগব পাই।
আতিকুল ইসলাম নামে একজন নগর বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মশার ঔষধ না ছিটানোর কারণে মশার প্রকোট এতোটাই বেড়েছে প্রতিটি মুহূর্ত যেন মশার যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়। দেখার যেন কেউ নাই।
এদিকে মশা নিধনে নানা কার্যক্রম থাকলেও সিটি কপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কোন ভূমিকা পালন করছে না। তাই ভোক্ত ভোগীদের দাবী মশা নিধনে এখনই সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করা উচিত।
এলাকাবাসির অভিযোগ যত্রতত্র ময়লা আর্বজনার বর্জ্য ও খাল নর্দমার দূষিত পানির কারনে দিনের পর দিন মশার উৎপাত যেন বেড়েই চলেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ময়লা আর্বজনার স্তূপ ও ডাস্টবিন নিয়মিত পরিস্কার না করায় মশার বিস্তার ক্রমশ বাড়ছেই। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে শিশুসহ সব শ্রেনীর মানুষ। এছাড়াও মশার যন্ত্রনায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার ব্যাগাত ঘটছে।
এ বিষয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন মশার মাত্রা কিছুটা কম থাকলেও রাত হওয়ার সাথে সাথেই এর মাত্রা কয়েকগুন বেড়ে যায়। যার কারনে কয়েল বা স্প্রে করে পড়তে বসতে হয়। তারপরও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না।
চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত এই তিনটি মাস মশার বংশ বিস্তার ঘটে। তাই এ সময়ে মশার বিস্তার বেশী থাকে। তাই এসময়টায় খুব সতর্ক থাকতে হবে। এসময় ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগ আক্রমন করতে পারে।