নারায়ণগঞ্জ ০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইউপি নির্বাচনে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে,সমর্থন না.গঞ্জ বিএনপির

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সংবাদ ডটকম :   পৌরসভাসহ সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিলেও আসছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ সিদ্ধান্তকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি বলছে, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’। কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে ‘ যেখানে জনগণ ভোট দিতে চায়না। যেখানে ভোটে অংশ নিয়ে লাভ কি।’

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট চুরির অভিযোগ তুললেও পরে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়ে যাচ্ছিল দলটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিল। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক দেখা যাবে না।

ব্যাপারটি নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাশুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, ২০১৩ সালে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, নির্বাচিত সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন না। ১৮ সালে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। কিন্তু আমি এটার বিপক্ষে ছিলাম। এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া উচিৎ ছিল। অনেক পরে হলেও দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত। মানুষের মধ্যে এটা ধারণ এসে গেছে, ভোট দেওয়া দরকার নাই আর ভোট দিলেও কোন কাজ হবে না।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম বলেন, ‘এখন তো নির্বাচন হয়না। নির্বাচনের নামে জনগণের টাকায় সার্কাস চলছে। এই সার্কাসের মধ্যে মূল নায়ক হলো সরকার। খলনায়ক নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন। জনগণের এখন ভোট লাগে না। তারা দিতেও পারে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যেখানে জনগণ ভোট দিতে চায়না। যেখানে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নাই। সেখানে ভোটে অংশ নিয়ে লাভ কি?’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্মাচন মুখি দল। তাই ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দেখা গেল এই নির্বাচন গুলোতে সরকার জাতীয় নির্বাচনের মতোই জোর করে তাদের লোকজন পাশ করিয়ে নেয়। তাই বিএনপির অবশ্যই উচিৎ জনগণকে বুঝানো ও বলা। আমরা এই নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে থাকতে চাই না। তাই আমি মনে করি, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ইউপি নির্বাচনে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে,সমর্থন না.গঞ্জ বিএনপির

আপডেট সময় : ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

নারায়ণগঞ্জ সংবাদ ডটকম :   পৌরসভাসহ সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিলেও আসছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ সিদ্ধান্তকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি বলছে, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’। কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে ‘ যেখানে জনগণ ভোট দিতে চায়না। যেখানে ভোটে অংশ নিয়ে লাভ কি।’

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট চুরির অভিযোগ তুললেও পরে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়ে যাচ্ছিল দলটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিল। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক দেখা যাবে না।

ব্যাপারটি নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাশুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, ২০১৩ সালে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, নির্বাচিত সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন না। ১৮ সালে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। কিন্তু আমি এটার বিপক্ষে ছিলাম। এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া উচিৎ ছিল। অনেক পরে হলেও দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত। মানুষের মধ্যে এটা ধারণ এসে গেছে, ভোট দেওয়া দরকার নাই আর ভোট দিলেও কোন কাজ হবে না।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম বলেন, ‘এখন তো নির্বাচন হয়না। নির্বাচনের নামে জনগণের টাকায় সার্কাস চলছে। এই সার্কাসের মধ্যে মূল নায়ক হলো সরকার। খলনায়ক নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন। জনগণের এখন ভোট লাগে না। তারা দিতেও পারে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যেখানে জনগণ ভোট দিতে চায়না। যেখানে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নাই। সেখানে ভোটে অংশ নিয়ে লাভ কি?’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্মাচন মুখি দল। তাই ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দেখা গেল এই নির্বাচন গুলোতে সরকার জাতীয় নির্বাচনের মতোই জোর করে তাদের লোকজন পাশ করিয়ে নেয়। তাই বিএনপির অবশ্যই উচিৎ জনগণকে বুঝানো ও বলা। আমরা এই নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে থাকতে চাই না। তাই আমি মনে করি, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।