নারায়ণগঞ্জ ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গুণী জনদের পদচারণায়  উদযাপিত  দৈনিক আজকের নীর বাংলা পত্রিকা’র ১৫ তম  বর্ষপূর্তি সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন না করেও অপপ্রচারের শিকার মহিউদ্দিন মোল্লা ! সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজিতে পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা করছেনা কয়েল কারখানা মালিক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯
  • ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছে মশার কয়েল তৈরির কারখানা। পরিবেশসহ সরকারি নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিশ্চিন্তে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল কারখানা চালাচ্ছে সামছুল হক। হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড মিজমিজি বাতানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সামছুল হক নামে এক লোক পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে মশার কয়েল
তৈরির কারখানা। ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের কয়েল তৈরি করা হচ্ছে এই কারখানায়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘনবসিত আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কয়েল তৈরির কারখানা ঘড়ে উঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
আশপাশের লোকজন জানায়, কয়েল তৈরির বিভিন্ন বিষাক্ত ক্যামিকেলের গন্ধ সারাক্ষণ বিরাজমান থাকে। সর্বদায় এ গন্ধে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে আশপাশের বাসিন্দাদের। কারখানা চলাকালিন সময়ে কারখানার চার পাশে কমপক্ষে একশ গজ এলাকা পর্যন্ত গন্ধ ছাড়ায়। বিষাক্ত এ গন্ধে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া কারখানাটি এমন জায়গায় গড়ে তুলা হয়েছে, যেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করা অসম্ভব। ফলে, যদি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, তাহলে কারখানার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ হবে আশপাশের বাড়ীঘরের।
জানা গেছে, সরকারি গ্যাস লাইন সংযোগের অনুমতি না পাওয়ায় কারখানা মালিক সামছুল হক ব্যবহার করছে সিলিন্ডার গ্যাস। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার লোকদেখানো। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চোরাই গ্যাস লাইন সংযোগ রয়েছে। তাছাড়া বড় বড় এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যে কোন সময়। কয়েলের গুণগত মান নির্ণয় ছাড়াই বাজার জাত করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সরকারি তদারকি না থাকায় কয়েলে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশানো হচ্ছে মনগড়া মতে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের লোকজন না বুঝেই ব্যবহার করছে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক এসব কয়েল।
অভিযোগ রয়েছে, ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের অনুমতি নিলেও তা শুধু কাগজে কলমে। মূলত তৈরি করা হয় অন্য একাধিক নামের কয়েল। এতে সরকারি কর ফাঁকি দেওয়ার কাজটি সহজ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবেই চালাচ্ছে কয়েল কারখানা।
সচেতন এলাকাবাসীর প্রশ্ন ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল তৈরির কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র পায় কি করে। প্রকৃত পক্ষে পরিবেশ ছাড়পত্র পেয়েছে কি না তাও সন্দেহ রয়েছে স্থানীয়দের।
কারখানা মালিক সামছুল হকের সাথে কথা হলে তিনি সরকারি সকল কাগজপত্র রয়েছে দাবি করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই এই কারখানা চালাচ্ছি কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। এখন ঘনবসতি আবাসিক এলাকা হলেও যখন কারখানা গড়ে তুলেছি তখন এখানে আবাসিক এলাকা ছিলনা। পরিবেশ ছাড়পত্র দেখতে চাইলে তিনি সুর পাল্টিয়ে বলেন আবেদন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

গুণী জনদের পদচারণায়  উদযাপিত  দৈনিক আজকের নীর বাংলা পত্রিকা’র ১৫ তম  বর্ষপূর্তি

সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজিতে পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা করছেনা কয়েল কারখানা মালিক

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছে মশার কয়েল তৈরির কারখানা। পরিবেশসহ সরকারি নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিশ্চিন্তে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল কারখানা চালাচ্ছে সামছুল হক। হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড মিজমিজি বাতানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সামছুল হক নামে এক লোক পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে মশার কয়েল
তৈরির কারখানা। ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের কয়েল তৈরি করা হচ্ছে এই কারখানায়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘনবসিত আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কয়েল তৈরির কারখানা ঘড়ে উঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
আশপাশের লোকজন জানায়, কয়েল তৈরির বিভিন্ন বিষাক্ত ক্যামিকেলের গন্ধ সারাক্ষণ বিরাজমান থাকে। সর্বদায় এ গন্ধে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে আশপাশের বাসিন্দাদের। কারখানা চলাকালিন সময়ে কারখানার চার পাশে কমপক্ষে একশ গজ এলাকা পর্যন্ত গন্ধ ছাড়ায়। বিষাক্ত এ গন্ধে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া কারখানাটি এমন জায়গায় গড়ে তুলা হয়েছে, যেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করা অসম্ভব। ফলে, যদি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, তাহলে কারখানার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ হবে আশপাশের বাড়ীঘরের।
জানা গেছে, সরকারি গ্যাস লাইন সংযোগের অনুমতি না পাওয়ায় কারখানা মালিক সামছুল হক ব্যবহার করছে সিলিন্ডার গ্যাস। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার লোকদেখানো। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চোরাই গ্যাস লাইন সংযোগ রয়েছে। তাছাড়া বড় বড় এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যে কোন সময়। কয়েলের গুণগত মান নির্ণয় ছাড়াই বাজার জাত করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সরকারি তদারকি না থাকায় কয়েলে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশানো হচ্ছে মনগড়া মতে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের লোকজন না বুঝেই ব্যবহার করছে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক এসব কয়েল।
অভিযোগ রয়েছে, ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের অনুমতি নিলেও তা শুধু কাগজে কলমে। মূলত তৈরি করা হয় অন্য একাধিক নামের কয়েল। এতে সরকারি কর ফাঁকি দেওয়ার কাজটি সহজ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবেই চালাচ্ছে কয়েল কারখানা।
সচেতন এলাকাবাসীর প্রশ্ন ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল তৈরির কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র পায় কি করে। প্রকৃত পক্ষে পরিবেশ ছাড়পত্র পেয়েছে কি না তাও সন্দেহ রয়েছে স্থানীয়দের।
কারখানা মালিক সামছুল হকের সাথে কথা হলে তিনি সরকারি সকল কাগজপত্র রয়েছে দাবি করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই এই কারখানা চালাচ্ছি কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। এখন ঘনবসতি আবাসিক এলাকা হলেও যখন কারখানা গড়ে তুলেছি তখন এখানে আবাসিক এলাকা ছিলনা। পরিবেশ ছাড়পত্র দেখতে চাইলে তিনি সুর পাল্টিয়ে বলেন আবেদন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো।