নারায়ণগঞ্জ ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজিতে পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা করছেনা কয়েল কারখানা মালিক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯
  • ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছে মশার কয়েল তৈরির কারখানা। পরিবেশসহ সরকারি নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিশ্চিন্তে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল কারখানা চালাচ্ছে সামছুল হক। হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড মিজমিজি বাতানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সামছুল হক নামে এক লোক পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে মশার কয়েল
তৈরির কারখানা। ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের কয়েল তৈরি করা হচ্ছে এই কারখানায়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘনবসিত আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কয়েল তৈরির কারখানা ঘড়ে উঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
আশপাশের লোকজন জানায়, কয়েল তৈরির বিভিন্ন বিষাক্ত ক্যামিকেলের গন্ধ সারাক্ষণ বিরাজমান থাকে। সর্বদায় এ গন্ধে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে আশপাশের বাসিন্দাদের। কারখানা চলাকালিন সময়ে কারখানার চার পাশে কমপক্ষে একশ গজ এলাকা পর্যন্ত গন্ধ ছাড়ায়। বিষাক্ত এ গন্ধে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া কারখানাটি এমন জায়গায় গড়ে তুলা হয়েছে, যেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করা অসম্ভব। ফলে, যদি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, তাহলে কারখানার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ হবে আশপাশের বাড়ীঘরের।
জানা গেছে, সরকারি গ্যাস লাইন সংযোগের অনুমতি না পাওয়ায় কারখানা মালিক সামছুল হক ব্যবহার করছে সিলিন্ডার গ্যাস। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার লোকদেখানো। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চোরাই গ্যাস লাইন সংযোগ রয়েছে। তাছাড়া বড় বড় এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যে কোন সময়। কয়েলের গুণগত মান নির্ণয় ছাড়াই বাজার জাত করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সরকারি তদারকি না থাকায় কয়েলে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশানো হচ্ছে মনগড়া মতে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের লোকজন না বুঝেই ব্যবহার করছে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক এসব কয়েল।
অভিযোগ রয়েছে, ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের অনুমতি নিলেও তা শুধু কাগজে কলমে। মূলত তৈরি করা হয় অন্য একাধিক নামের কয়েল। এতে সরকারি কর ফাঁকি দেওয়ার কাজটি সহজ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবেই চালাচ্ছে কয়েল কারখানা।
সচেতন এলাকাবাসীর প্রশ্ন ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল তৈরির কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র পায় কি করে। প্রকৃত পক্ষে পরিবেশ ছাড়পত্র পেয়েছে কি না তাও সন্দেহ রয়েছে স্থানীয়দের।
কারখানা মালিক সামছুল হকের সাথে কথা হলে তিনি সরকারি সকল কাগজপত্র রয়েছে দাবি করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই এই কারখানা চালাচ্ছি কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। এখন ঘনবসতি আবাসিক এলাকা হলেও যখন কারখানা গড়ে তুলেছি তখন এখানে আবাসিক এলাকা ছিলনা। পরিবেশ ছাড়পত্র দেখতে চাইলে তিনি সুর পাল্টিয়ে বলেন আবেদন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ

সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজিতে পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা করছেনা কয়েল কারখানা মালিক

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছে মশার কয়েল তৈরির কারখানা। পরিবেশসহ সরকারি নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিশ্চিন্তে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল কারখানা চালাচ্ছে সামছুল হক। হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড মিজমিজি বাতানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সামছুল হক নামে এক লোক পরিবেশ নীতিমালার তুয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে মশার কয়েল
তৈরির কারখানা। ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের কয়েল তৈরি করা হচ্ছে এই কারখানায়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘনবসিত আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কয়েল তৈরির কারখানা ঘড়ে উঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
আশপাশের লোকজন জানায়, কয়েল তৈরির বিভিন্ন বিষাক্ত ক্যামিকেলের গন্ধ সারাক্ষণ বিরাজমান থাকে। সর্বদায় এ গন্ধে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে আশপাশের বাসিন্দাদের। কারখানা চলাকালিন সময়ে কারখানার চার পাশে কমপক্ষে একশ গজ এলাকা পর্যন্ত গন্ধ ছাড়ায়। বিষাক্ত এ গন্ধে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া কারখানাটি এমন জায়গায় গড়ে তুলা হয়েছে, যেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করা অসম্ভব। ফলে, যদি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, তাহলে কারখানার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ হবে আশপাশের বাড়ীঘরের।
জানা গেছে, সরকারি গ্যাস লাইন সংযোগের অনুমতি না পাওয়ায় কারখানা মালিক সামছুল হক ব্যবহার করছে সিলিন্ডার গ্যাস। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার লোকদেখানো। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চোরাই গ্যাস লাইন সংযোগ রয়েছে। তাছাড়া বড় বড় এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যে কোন সময়। কয়েলের গুণগত মান নির্ণয় ছাড়াই বাজার জাত করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সরকারি তদারকি না থাকায় কয়েলে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশানো হচ্ছে মনগড়া মতে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের লোকজন না বুঝেই ব্যবহার করছে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক এসব কয়েল।
অভিযোগ রয়েছে, ভেনিশ ও পিয়াস নামে দু,টি ব্রেন্ডের অনুমতি নিলেও তা শুধু কাগজে কলমে। মূলত তৈরি করা হয় অন্য একাধিক নামের কয়েল। এতে সরকারি কর ফাঁকি দেওয়ার কাজটি সহজ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবেই চালাচ্ছে কয়েল কারখানা।
সচেতন এলাকাবাসীর প্রশ্ন ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল তৈরির কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র পায় কি করে। প্রকৃত পক্ষে পরিবেশ ছাড়পত্র পেয়েছে কি না তাও সন্দেহ রয়েছে স্থানীয়দের।
কারখানা মালিক সামছুল হকের সাথে কথা হলে তিনি সরকারি সকল কাগজপত্র রয়েছে দাবি করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই এই কারখানা চালাচ্ছি কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। এখন ঘনবসতি আবাসিক এলাকা হলেও যখন কারখানা গড়ে তুলেছি তখন এখানে আবাসিক এলাকা ছিলনা। পরিবেশ ছাড়পত্র দেখতে চাইলে তিনি সুর পাল্টিয়ে বলেন আবেদন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো।