নারায়ণগঞ্জ সংবাদ ডটকম : বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সেলিম ওসমানের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, গেলো পাচ বছরের আমার উন্নয়নের কথা বলতে গেলে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লেগে যাবে। আমি কখনো ভাবি নাই, আপনি সেলিম ওসমানের মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবীদের এত কাছাকাছি গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবো। আপনার পরিবারের সকল সদস্য, আপনার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী, পিতা একেএম শামসুজ্জোহা এবং বড় ভাই নাসিম ওসমান বার বার এ অঞ্চলের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে জনগনের উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রেখেছেন। এখন আপনি সেলিম ওসমান অতীতের উন্নয়নের সেই ধারা রেকর্ড করেছেন। এতো উন্নয়ন আপনার মতো আর কেউ করতে পারেনি।
শুক্রবার ( ৫ মার্চ ) বিকাল ৩ টার দিকে বন্দরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন টি হোসেন গার্ডেনে উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান।
চেয়ারম্যান এহসান বলেন, আমি মাননীয় সংসদ সদস্যের সেলিম ওসমানের সামনে দাড়িয়ে বলতে চাই, আমি কখনো কারো এক টাকাও লুট করে খাই নাই। আমি কখনো কারো সাথে ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখিয়ে কথা বলি নাই। আমি আমার ক্ষমতা বা আমার পরিবারের ক্ষমতা দেখিয়ে কারো সাথে গালি দিয়ে কথা বলি নাই। আমি জানি না, আজকের পরে কখনো এমন কোন মঞ্চে দাড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পাবো কি না। আমি আমার চেয়ারম্যানি করতে গিয়ে বা আমি পারিবারিক দিক দিয়ে কারো সাথে কোন রকম খারাপ আচরন করে থাকি, কোন ভুল করে থাকি বা আপনাদের কারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমি আপনাদের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি এই মঞ্চে দাড়িয়ে সবার সামনে মাননীয় সংসদ সেলিম ওসমানকে বলতে চাই, আপনি আমাকে যে আদেশ, যে নির্দেশ দিবেন, তা আমি আমার শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আমার এলাকার মানুষেরা অনেক শান্তিপ্রিয়। তারা কোনোদিন কোন রকমের সন্ত্রাস, ভুমিদাস্যুদের সাথে আপস করতে রাজি নন। আমি আশা করছি অতিতে আপনি বন্দরের মানুষদের সন্ত্রাস, ভুমিদাস্যুদের থেকে বাচাতে আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা ভবিষ্যতেও দিবেন। আপনার কাছে আমার একটি জিনিস চাওয়ার আছে। আমি জানি আপনার কাছে কোন দিন কোন কিছু চাওয়ার প্রয়োজন পরে না, আপনি চাওয়ার আগেই তা দিয়ে দেন। তাও বলছি, আমাদের এখানে কিছু রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ, ফান্ডের অভাবে কাজ হচ্ছে না। আমি আপনার কাছে অনুরোধ করবো অন্য রাস্তার জন্য আমরা আরো এক বছর দুই বছর অপেক্ষা করতে রাজি আছি কিন্তু কলাগাছিয়ার এখানের রাস্তাটা এক বছর ধরে নষ্ট ওইটা যদি একটু দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করে দিতেন।
উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু প্রমূখ।