স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের তৎপরতায় ৯৯৯’র কলে অপহৃত তানিয়া উদ্ধারসহ অপহরনকারী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার। গতকাল বুধবার বেলা ৩’টায় কাঁচপুর ব্রীজের পূর্বপাশ থেকে ভিকটিমসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, আমরা ৯৯৯’র ফোন পেয়ে কাঁচপুর ব্রিজের পূর্বপাশে চেকপোষ্ট বসিয়ে চট্রগ্রামগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের গতিরোধ করি। পরে বাসে থাকা তানিয়া ও আব্দুর রাজ্জাককে নামিয়ে থানায় নিয়ে আাসা হয়। গত ২’মার্চ অপহরনকারী বগুড়া জেলার বগুড়া সদর থানার, শাকপালা দক্ষিনপাড়া গ্রামের ধলু প্রামানিকের ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক। সে বগুড়া জেলার শাহাজাদপুর থানার মাতুনচাপড়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে তানিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৫০’টাকার স্ট্যাম্পে নোটারী পাবলিক কার্যালয় বগুড়ার মাধ্যমে ৩০’হাজার টাকা দেনমহর ধার্য করে ১’হাজার টাকা দ্বারা পরিশোধ পূর্বক বিয়ে করে।
বিয়ের পরেই উক্ত ভিকটিম তানিয়াকে নিয়ে হানিফ পরিবহনের বাস (যাহা নং ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-০২৩৮) যোগে বগুড়া হতে চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে বাসের এক যাত্রীর সন্দেহ হলে জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন। ৯৯৯’থেকে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামানকে বিষয়টি অবগত করলে অফিসার ইনচার্জ দায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট আরিফুল ইসলামকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বললে তিনি কাঁচপুর ব্রীজের পূর্বপাশের ঢালে অবস্থান নিয়ে বাসটির গতিরোধ করে ভিকটিম তানিয়াকে উদ্ধারসহ আসামী আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামী পেশায় একজন ভ্যান চালক।
অপহরনকারী আব্দুর রাজ্জাক ও ভিকটিম তানিয়া পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকত। অপহরনকারী আব্দুর রাজ্জাকের ইতোপূর্বে ২’জন স্ত্রী রয়েছে। অপহরনকারী বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শাহজানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ০২ তারিখ ০৩/০৩/২০২১ ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ৯৯৯’র ফোন পেয়ে আমার দায়িত্বে থাকা অফিসারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তিনি কাঁচপুর ব্রীজের পূর্বপাশের ঢালে অবস্থান নিয়ে বাসটির গতিরোধ করে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিম ও আসামীকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্থান্তর করা হয়েছে।