ফতুল্লা প্রতিনিধি : ফতুল্লার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা- নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়ক ঘেষে গড়ে উঠা কাপড়ের মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।এতে পুরে গেছে ছোট- বড় প্রায় ২০-২৫ টি দোকান। আগুনে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা জানায়।তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও তার স্বজনদের আহজারীতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
বুধবার (৩ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে শহরের মন্ডলপাড়া ও ফতুল্লা বিসিকের ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সোহেলের মালিকানাধীন কাপড়ের মার্কেটের একেবারে পিছনের দোকান থেকে ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের বিস্তার লাভ করে পার্শ্ববর্তী কাপড়ের দোকান সহ পনির,সোহাগও জাতীয় পার্টি নেতা কাজী হোসেনের মার্কেটের দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফতুল্লা থানা পুলিশের এস,আই পোদ্দার জানায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২৩ জন দোকান মালিকের নাম তিনি জানতে পেরেছেন।পুড়ে যাওয়া অধিকাংশ দোকানই কাপড়ের ছিল শুধুমাত্র একটি দোকান গ্রিল তৈরির ওয়ার্কশপ ও একটি টিনের দোকান ছিলো।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক আব্বাস জানায় তার দোকানের ভিতর প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিলো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।সাহাবুদ্দিন জানায়,সামনে রমজান এবং ঈদ।ঈদ কে টার্গেট করে মালামাল মজুদ করতে ছিলেন।তার দোকান এবং গোডাউনে মিলে প্রায়১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার কাপড় ছিলো।ক্ষতিগ্রস্থ রিয়ন জানায় তার প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল সহ মঙ্গলবার হাটের বিক্রির প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা ক্যাশ বাক্সে ছিলো। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তুষায় জানায় তার ক্যাশ বাক্সে নগদ একলাখ টাকা ছিলো এবং দোকান ও গোডাউনে প্রায় ১২-১৩ লাখ টাকার মালামাল ছিলো আগুনে সব পুড়ে গেছে।একই অবস্থা সামছুল,রনি,মামুন সহ অধিকাংশ দোকানিদের।ক্ষতিগ্রস্থ অধিকাংশ দোকান মালিকদের দাবী, ঈদকে টার্গেট করে তারা কাপড় মজুদ করতে শুরু করেছিলো। আগুনে তাদের সব পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, পৌনে সাতটার দিকে ফতুল্লায় কাপড়ের দোকানে আগুন লাগার খবর শুনে সেখানে পৌঁছায় মন্ডলপাড়া ও ফতুল্লা বিসিকের ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। কর্মীরা আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত করে না বলতে পারলেও তিনি ধারনা করছেন বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।