নারায়ণগঞ্জ ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামেসহ অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ রাজনীতি না করেও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা আলমগীর

পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করার খেসারত

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করেন ঠিকাদার মোহন। ঠিকমত ভরণপোষণ না দেওয়ায় লোকজন দিয়ে মোহনকে মধ্যরাতে ধাওয়া করে কচুক্ষেতের পানিতে নামিয়ে ১ ঘন্টা অবরোদ্ধ করে রাখেন স্ত্রী সাথী আক্তার। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে মোহনকে উদ্ধার করেন।
গত শনিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড তুষারধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আজম মিয়া।
স্থানীরা জানান, তুষারধারা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করে ঠিকাদারি কাজ করেন মোহন। তার বাড়ির পাশেই অন্য একটি বাড়িতে ফ্ল্যাট কিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন এক বন্ধু। সেই বন্ধুর কাছে মোটা অংকের টাকা পাওনা ছিল মোহনের। টাকা দিতে না পারায় ওই বন্ধু তার স্ত্রী সাথী আক্তার ও শিশু সন্তান রেখে গা ঢাকা দেন। তখন মোহন তার পাওনা টাকার জন্য সাথী আক্তারকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মোহন, সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর সাথী আক্তার তার আগের স্বামীর ফ্ল্যাটেই থাকেন। মোহন ওই ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করলেও সাথীর ভরণপোষণ দিতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
মোহন বলেন, সাথীকে প্রথমে মৌখিকভাবে বিয়ে করলেও পরে ৫ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে কাজির মাধ্যমে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে নিয়মিত ভরণপোষণ দিয়ে আসছি। কয়েক দিন আগেও চালের বস্তা কিনে দিয়েছি। বাজারও করে দিয়েছি। কিন্তু সাথী আমাকে ঘরে থাকতে দেয় না। একাধিক পুরুষের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তার প্রমাণও আমার কাছে আছে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে মারধর করতে চায়।
ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে মোহন বলেন, রাত ১২ টার দিকে আমি সাথীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে কেউ শব্দ করেনি। কিন্তু ঘরে লোকজনের শব্দ পেয়েছি। তখন জোরে দরজা ধাক্কা দিলে সাথী আমাকে গালাগাল করে চলে যেতে বলেন। আমি যাব না বললে সে আমাকে মারধর করার জন্য লাঠি-সোটা দিয়ে তিনজন লোক পাঠায়। তখন আমি দৌঁড় দিলে তারা আমাদে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে জীবন বাঁচানোর জন্য আমি সড়কের পাশে কচুক্ষেতের ভেতর ঢুকে পড়ি। ওই ক্ষেতে বুক সমান পানি। শীতের রাতে অনেক ঠান্ডা পানিতে থেকে আমি ডাকাডাকি করেও কাউকে পাইনি। তারা এক ঘন্টা পর্যন্ত আমাকে পানিতে অবরোধ করে রাখেন। তখন আমি প্রথম আমার প্রথম স্ত্রীকে ফোন করে তার সহযোগিতা চাই। পরে ৯৯৯-এ ফোন করি। পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে মোহনকে ভেজা অবস্থায় কচুক্ষেতের সামনে পেয়েছি। তাকে চিকিৎসা দিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি

পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করার খেসারত

আপডেট সময় : ০৬:৫০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করেন ঠিকাদার মোহন। ঠিকমত ভরণপোষণ না দেওয়ায় লোকজন দিয়ে মোহনকে মধ্যরাতে ধাওয়া করে কচুক্ষেতের পানিতে নামিয়ে ১ ঘন্টা অবরোদ্ধ করে রাখেন স্ত্রী সাথী আক্তার। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে মোহনকে উদ্ধার করেন।
গত শনিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড তুষারধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আজম মিয়া।
স্থানীরা জানান, তুষারধারা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করে ঠিকাদারি কাজ করেন মোহন। তার বাড়ির পাশেই অন্য একটি বাড়িতে ফ্ল্যাট কিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন এক বন্ধু। সেই বন্ধুর কাছে মোটা অংকের টাকা পাওনা ছিল মোহনের। টাকা দিতে না পারায় ওই বন্ধু তার স্ত্রী সাথী আক্তার ও শিশু সন্তান রেখে গা ঢাকা দেন। তখন মোহন তার পাওনা টাকার জন্য সাথী আক্তারকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মোহন, সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর সাথী আক্তার তার আগের স্বামীর ফ্ল্যাটেই থাকেন। মোহন ওই ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করলেও সাথীর ভরণপোষণ দিতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
মোহন বলেন, সাথীকে প্রথমে মৌখিকভাবে বিয়ে করলেও পরে ৫ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে কাজির মাধ্যমে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে নিয়মিত ভরণপোষণ দিয়ে আসছি। কয়েক দিন আগেও চালের বস্তা কিনে দিয়েছি। বাজারও করে দিয়েছি। কিন্তু সাথী আমাকে ঘরে থাকতে দেয় না। একাধিক পুরুষের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তার প্রমাণও আমার কাছে আছে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে মারধর করতে চায়।
ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে মোহন বলেন, রাত ১২ টার দিকে আমি সাথীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে কেউ শব্দ করেনি। কিন্তু ঘরে লোকজনের শব্দ পেয়েছি। তখন জোরে দরজা ধাক্কা দিলে সাথী আমাকে গালাগাল করে চলে যেতে বলেন। আমি যাব না বললে সে আমাকে মারধর করার জন্য লাঠি-সোটা দিয়ে তিনজন লোক পাঠায়। তখন আমি দৌঁড় দিলে তারা আমাদে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে জীবন বাঁচানোর জন্য আমি সড়কের পাশে কচুক্ষেতের ভেতর ঢুকে পড়ি। ওই ক্ষেতে বুক সমান পানি। শীতের রাতে অনেক ঠান্ডা পানিতে থেকে আমি ডাকাডাকি করেও কাউকে পাইনি। তারা এক ঘন্টা পর্যন্ত আমাকে পানিতে অবরোধ করে রাখেন। তখন আমি প্রথম আমার প্রথম স্ত্রীকে ফোন করে তার সহযোগিতা চাই। পরে ৯৯৯-এ ফোন করি। পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে মোহনকে ভেজা অবস্থায় কচুক্ষেতের সামনে পেয়েছি। তাকে চিকিৎসা দিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।