বন্দর প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় বিচারাধীন জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ করায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মালিবাগ এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে ছালেহ আহম্মেদের জমি জোর পূর্বক দখলে নিয়ে বাড়ী নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মোঃ শাহীন মিয়া,মাসুদ মিয়া,জহিরুল ইসলাম জোহর গংদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভুক্তভোগী ছালেহ আহম্মেদ জানান,ক্রয়সূত্রে মালিকানা হয়ে দীর্ঘ ৩০বছর যাবত আমি ভোগ দখল করে আসছি।আমাদের জায়গা নিয়ে ১১২ এবং ১১৪দাগের সমস্যা থাকায় বিবাদী সাহিন গংরা জোরপূর্বক দখলে নেয়ার পায়তারা করে যাচ্ছে।এ কারণে একাধিকবার গ্রাম্য শালিসিতে বসেও বিবাদী পক্ষের লোকেরা বিচার না মেনে আবারও জোরপূর্বক দখলে নিতে গেলে আমরা বাঁধা দেই।তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হত্যার হুমকি দিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়।আমি উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত ৩১/০৩/২০২১তারিখের আগে উক্ত জায়গায় কোন প্রকার কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেয় এবং উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে কোন কাজ না করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
উক্ত জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে আমি বন্দর থানায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার মামলার কাগজ জমা দিয়ে আসার পরও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদী সাহিন গংরা জোরপূর্বক জমিতে ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছে।এ বিষয়ে বন্দর থানার পুলিশ বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এলাকাবাসী আরও জানান,এই বিচারাধীন জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করার কারণে যেকোন সময় এই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের দাঙ্গা হাঙ্গামা ও মারামারির ঘটনা ঘটতে পারে।অতএব স্থানীয় থানা পুলিশের উচিত অনতিবিলম্বে এই মালিবাগ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উভয় পক্ষকে মেনে চলার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা।
ভুক্তভোগী ছালেহ আহম্মেদ আরও জানান আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সুুদৃষ্টি কামনা করছি।