ফতুল্লা প্রতিনিধি : ফতুল্লার হাজিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত মধ্যরাতে স্থানীয়বাসীর সহায়তায় আরিফুল ইসলাম (২৬)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতা তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আরিফুল ইসলামকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃত আরিফুল ইসলাম জেলার বন্দর থানার মায়াপুর মিনাবাড়ী এলাকার আব্দুল হাইয়ের পুত্র। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ আরিফুলকে আদালতে পাঠিয়েছে।
জানা যায়, একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুবাদে ২০১৯ সাল থেকে ধর্ষিতা তরুনীর সাথে গ্রেফতারকৃত আরিফুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়।সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুনীর সাথে গত এক বছরে নানা জায়গায় নিয়ে একাধিক বার দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এক মাস পূর্ব থেকে নিউ হাজিগঞ্জস্থ পেপার মিলের পিছনে জনৈক আলাউদ্দিনের বাসায় তৃতীয় তলায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করছিলো। এ সময়েও তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। চলতি মাসের ১৯ তারিখে আরিফুল ইসলাম তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। অতঃপর আরিফুল ইসলামকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে সম্পূর্নরুপে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত মধ্যরাতে গ্রেফতারকৃত আরিফুল ইসলাম নিউ হাজিগঞ্জস্থ বাসায় এসে জোরপূর্বক শারীরীক সম্পর্ক করতে চাইলে তরুণী ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়বাসী এগিয়ে এসে আরিফুলকে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ইনচার্জ আসলাম হোসেন জানান,আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।তরুনীর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।