নারায়ণগঞ্জ সংবাদ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল বলেছেন, বায়তুল আমান ভবন ও হীরা মহল ছিল আওয়ামীলীগের পাঠশালা। এই পাঠশালা যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন পাঠশালার কেন্দ্রবিন্দু স্থপতি জ্জোহা চাচা আমাদের সকলের মাঝে জীবিত থাকবেন। জ্জোহা চাচার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেই নারায়ণগঞ্জে। সুতরাং আমাদের মত ছাত্ররা থাকাকালীন নারায়ণগঞ্জে এই ঝান্ডা আগামীতেও বিদ্যমান থাকবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ আয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর সহচর, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত প্রয়াত নেতা একেএম শামসুজ্জোহার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও নেওয়াজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর আহবায়ক এইচ এম রাসেলের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারী তোলারাম কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল বলেন, নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, এটা কিভাবে পৌর শহীদ মিনার হয়? এতোদিন হয়ে গেলো দেখতে পাই লিখা আছে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় পৌর শহীদ মিনার! কিভাবে? কোন সাহসে এই কথাটুকু সিটি করপোরেশন এখনো পৌর শহীদ মিনার রেখে দিয়েছে?
তিনি আরও বলেন, আজকে শামসুজ্জোহা চাচার নেতৃত্বে আমার যেসকল ভাষা সৈনিকরা একসময় ইট দিয়ে এটাকে শহীদ মিনারের রূপ দিয়েছিল তাকে শুধু পৌর নয় এটাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রাখতে হবে। এটা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, এটা কিভাবে পৌর শহীদ মিনার হয় ? এটার জবাব কি আপনারা দিতে পারবেন? এই কথাটুকু সংশোধন হওয়ার প্রয়োজন আছে। এর দায়ভার নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকেরও নিতে হবে।
সমাপনি বক্তব্যে জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর আহবায়ক এইচ এম রাসেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সংসদের দাবী নারায়ণগঞ্জে ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহা চাচার প্রতিকৃতি স্থাপন করতে হবে। আমরা এরআগেও জানিয়েছি, দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা দাবী করতে থাকবো।
নারায়ণগঞ্জে জিয়ার ছবি থাকবে না মন্তব্য করে প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুক্ত বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেছেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যদি শিক্ষা জীবন শেষ করা অবস্থায় বা কর্ম জীবনে অনৈতিক কোন কাজ করে তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিগ্রি ছিনিয়ে নেয়। তেমনি ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমান এর কোন খিতাব এই বাংলায় রাখা যাবেনা। ১৯৭১ সালে ওনার (জিয়াউর রহমান) যে খেতাব দেওয়া হয়েছে, জিয়াউর রহমান সেই খেতাবের সম্মান রাখতে পারে নাই।
তিনি বলেন, সরকার জানে জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনের সাথে জড়িত, তাই সেই খেতাব সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছিনিয়ে নিবে। এটা প্রমানিত হয়েছে, কোর্টে রায় আছে, যে উনি ঠান্ডা মাথার খুনি। তাই অনতিবিলম্বে জিয়াউর রহমানের খিতাব নেয়া হোক। আজ যেখানে দাড়িয়ে আছি এই চাষাঢ়া শহরেও ওই ঠান্ডা মাথার খুনির ছবি থাকতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর সভাপতি হামদান-উর রহমান শান্ত ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর সদস্য সচিব জে.আর. রাসেল আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো.জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডিপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জুলহাস উদ্দিন ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক নেতা ও ব্যাংক কর্মচারীর সভাপতি আব্দুল কাদির।