নারায়ণগঞ্জ ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইর ঘটনায় মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জে মাছ ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাইর ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করার ৮ দিন গত হলেও মামলা রুজু করছেনা থানা পুলিশ। মামলা না করার জন্য ছিনতাইকারি চক্রের মূল হোতা সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম জিতু প্রতিনিয়তই হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগকারী জাকির হোসেনের অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর আজিবপুর এলাকা থেকে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো: সিফাত (২২) গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে মাছের আড়ৎ এর তাগাদা করে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরছিল। আটি এলাকার মসজিদের সামনে পৌঁছলে আটি এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম জিতু (৩২), মো: মুসলেউদ্দিনের ছেলে নাদিম (৪৫), মো: নাজিমের ছেলে পুলক (২৫) এবং রাসেলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সিফাতের পথরোধ করে মারধর ও সঙ্গে থাকা সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় রাতেই সিফাতের মামা মো: জাকির হোসেন বাদী হয়ে উল্লেখিত ছিনতাইকারিদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এসআই আমিনুল অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়।
অপরদিকে অভিযোগ করার পর নাসিক ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম সালিশ বিচার করার দায়িত্ব নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত তারিখে কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠক বসলে বাদী পক্ষ উপস্থিত হলেও বিবাধী পক্ষ হাজির হয়নি। ফলে বিচার সালিশ সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে বাদী পক্ষকে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য পরামর্শ দিয়ে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিরা লিখিত ভাবে সামাজিক বিচার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ায়। পরে বাদী আইনগত ব্যাবস্থা নিতে পুলিশের কাছে গেলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছেননা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আমিনুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সিদ্ধিরগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইর ঘটনায় মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ

আপডেট সময় : ০২:১৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জে মাছ ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাইর ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করার ৮ দিন গত হলেও মামলা রুজু করছেনা থানা পুলিশ। মামলা না করার জন্য ছিনতাইকারি চক্রের মূল হোতা সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম জিতু প্রতিনিয়তই হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগকারী জাকির হোসেনের অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর আজিবপুর এলাকা থেকে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো: সিফাত (২২) গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে মাছের আড়ৎ এর তাগাদা করে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরছিল। আটি এলাকার মসজিদের সামনে পৌঁছলে আটি এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম জিতু (৩২), মো: মুসলেউদ্দিনের ছেলে নাদিম (৪৫), মো: নাজিমের ছেলে পুলক (২৫) এবং রাসেলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সিফাতের পথরোধ করে মারধর ও সঙ্গে থাকা সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় রাতেই সিফাতের মামা মো: জাকির হোসেন বাদী হয়ে উল্লেখিত ছিনতাইকারিদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এসআই আমিনুল অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়।
অপরদিকে অভিযোগ করার পর নাসিক ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম সালিশ বিচার করার দায়িত্ব নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত তারিখে কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠক বসলে বাদী পক্ষ উপস্থিত হলেও বিবাধী পক্ষ হাজির হয়নি। ফলে বিচার সালিশ সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে বাদী পক্ষকে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য পরামর্শ দিয়ে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিরা লিখিত ভাবে সামাজিক বিচার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ায়। পরে বাদী আইনগত ব্যাবস্থা নিতে পুলিশের কাছে গেলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছেননা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আমিনুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।