নারায়ণগঞ্জ ০২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের শুভ উদ্বোধন কালাপাহাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জে পিতার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাবার নির্যাতন থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে ছেলে। স্ত্রী ও সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত হয় মাদকাসক্ত হারেস মিয়া (৫৫)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টায় কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সোহাগ। তার বয়স ১৫ বছর। মা মনোয়ারা বেগমের বয়স ৪২ বছর। হারেস মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে রিকশা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে সোহাগ স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে হারেস মিয়া প্রায় সময়ই ঝগড়া বিবাদ করতো। একই কারণে মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ২ টার দিকে হারেস মিয়া দাঁড়ালো ছুরি নিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায় স্বামী তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে। তখন মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। কিন্তু পিতা হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে সে নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করে। অন্য ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম থেকে উঠে এসব দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আহত তিনজনকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। আর স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধিন বলে জানান ওসি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের শুভ উদ্বোধন

নারায়ণগঞ্জে পিতার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন

আপডেট সময় : ১০:৪৩:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাবার নির্যাতন থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে ছেলে। স্ত্রী ও সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত হয় মাদকাসক্ত হারেস মিয়া (৫৫)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টায় কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সোহাগ। তার বয়স ১৫ বছর। মা মনোয়ারা বেগমের বয়স ৪২ বছর। হারেস মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে রিকশা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে সোহাগ স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে হারেস মিয়া প্রায় সময়ই ঝগড়া বিবাদ করতো। একই কারণে মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ২ টার দিকে হারেস মিয়া দাঁড়ালো ছুরি নিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায় স্বামী তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে। তখন মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। কিন্তু পিতা হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে সে নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করে। অন্য ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম থেকে উঠে এসব দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আহত তিনজনকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। আর স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধিন বলে জানান ওসি।