ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ষোল বছরের এক নারী শ্রমিককে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বটতলা শাহজালাল রি-রোলিং মিল এলাকায় মসজিদ গলির একটি নির্জন বাড়িতে নরীর সঙ্গে থাকা চাচাত ভাইকে মারধর ও আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় রাত এগারটার দিকে পুলিশ একই এলাকা থেকে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ফতুল্লা থানায় সংবাদ সম্মেলনে ছয় ধর্ষককে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তারা হলো-চাঁদপুর জেলার মতলবের মুক্তিরকান্দি এলাকার মো. সিরাজের ছেলে রাসেল (৩৮), নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ির মৃত রুকু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৩), মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২২), ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের বিরামপুরের মো. ফরিদের ছেলে সুমন (২২), একই জেলার কেন্দুয়ার হাদিছুর রহমানের ছেলে মো. রবিন (২৩) ও শরিয়তপুর জেলার জাজিরার আব্দুল লতিফের ছেলে মো: আল আমিন (২১)। তারা সবাই ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থাকে।
পুলিশ সুপার জানান, বটতলা এলাকার কেএম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্স মশার কয়েল কারখানায় কাজ করেন ধর্ষিতা নারী। সোমবার সন্ধ্যায় ছুটির পর চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে বাসায় ফিরছিল সে। এসময় এলাকার বখাটে রাসেল তার সঙ্গীদের নিয়ে পথরোধ করে। নারীর সঙ্গে থাকা চাচাত ভাইকে মারধর ও ৩ হাজার চারশ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখে আর নারী শ্রমিককে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে ছুরির ভয় দেখিয়ে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে ওই তরুণী ও তার চাচাত ভাইকে একটি আটোরিকশায় তুলে দেয়। ধর্ষনের শিকার তরুণী গোগনগর ফকিরবাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া।
এ ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন।