নারায়ণগঞ্জ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে এক গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ, ৫ জনকে গ্রেফতার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

সোনারগাঁয় প্রতনিধিি :
সোনারগাঁয়ে এক গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ । সোমবার দিবাগত রাতে জামপুর ইউনিয়নের ব্রাম্মনবাওগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা গার্মেন্ট কর্মী রূপগঞ্জের রবিন গার্মেন্টে চাকুরির করেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গার্মেন্ট ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার জন্য গার্মেন্টের সামনে থেকে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন। ওই সময়ে জাহাঙ্গীর নামের এক অভিযুক্ত ধর্ষক পেছনের সিটে বসা ছিল।
গাউছিয়া যাওয়ার পর ওই গার্মেন্ট কর্মী সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতে চাইলে পেছনের সিটে বসা জাহাঙ্গীর তাকে বাঁধা দেয়। পরে সিএনজি চালককে সিএনজিটি দ্রুত গতিতে তালতলার দিকে চালিয়ে যেতে বলে। চালক ধর্ষক জাহাঙ্গীরের কথা মতো গাড়িটি চালিয়ে যায়।

এসময় ওই গার্মেন্ট কর্মীর মুখে সাদা রঙের কসটেপ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় হালিম মিয়ার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে তাকে। ওই সময় হালিম মিয়া বাড়িতে ছিলেন না।
পরে ব্রাম্মনবাওগা গ্রামের মুজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে আবু সাইদ, রেহাজ উদ্দিনের ছেলে ইমরান, নবি হোসেনের ছেলে রনি, আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন, ভট্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ, আমির হোসেনের ছেলে আরিফ ও সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর ওই গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর পালাক্রমে ধষর্ণ করে।
রাত সাড়ে তিনটার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক আরিফ ও জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ অসুস্থ ওই গার্মেন্ট কর্মীকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওই গার্মেন্ট কর্মী সোনারগাঁ থানায় বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আহসানউল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজন পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিম উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার মামলা হয়েছে। ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে এক গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ, ৫ জনকে গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০২:২৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯

সোনারগাঁয় প্রতনিধিি :
সোনারগাঁয়ে এক গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ । সোমবার দিবাগত রাতে জামপুর ইউনিয়নের ব্রাম্মনবাওগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা গার্মেন্ট কর্মী রূপগঞ্জের রবিন গার্মেন্টে চাকুরির করেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গার্মেন্ট ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার জন্য গার্মেন্টের সামনে থেকে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন। ওই সময়ে জাহাঙ্গীর নামের এক অভিযুক্ত ধর্ষক পেছনের সিটে বসা ছিল।
গাউছিয়া যাওয়ার পর ওই গার্মেন্ট কর্মী সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতে চাইলে পেছনের সিটে বসা জাহাঙ্গীর তাকে বাঁধা দেয়। পরে সিএনজি চালককে সিএনজিটি দ্রুত গতিতে তালতলার দিকে চালিয়ে যেতে বলে। চালক ধর্ষক জাহাঙ্গীরের কথা মতো গাড়িটি চালিয়ে যায়।

এসময় ওই গার্মেন্ট কর্মীর মুখে সাদা রঙের কসটেপ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় হালিম মিয়ার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে তাকে। ওই সময় হালিম মিয়া বাড়িতে ছিলেন না।
পরে ব্রাম্মনবাওগা গ্রামের মুজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে আবু সাইদ, রেহাজ উদ্দিনের ছেলে ইমরান, নবি হোসেনের ছেলে রনি, আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন, ভট্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ, আমির হোসেনের ছেলে আরিফ ও সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর ওই গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর পালাক্রমে ধষর্ণ করে।
রাত সাড়ে তিনটার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক আরিফ ও জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ অসুস্থ ওই গার্মেন্ট কর্মীকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওই গার্মেন্ট কর্মী সোনারগাঁ থানায় বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আহসানউল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজন পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিম উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার মামলা হয়েছে। ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।