নারায়ণগঞ্জ ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সোয়া কোটি টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক-৩

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ জামাল হোসেন মৃধা নামের এক হুন্ডী ব্যবসায়ী ও তার দুই সহযোগিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর নিজ বাড়ী থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত অন্য দুইজন হলো, মোস্তফা কামাল (৪৮) ও মো: কাউছার আহম্মেদ মানিক (৩৪)।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মিজান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান প্রবেশ করবে। এরপর পুলিশ মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই বাড়িটি নজরদারিতে রাখে।
পরে মধ্য রাতে তার বাড়ির তৃতীয় তলার ফাটে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় একটি ট্রাঙ্ক থেকে নগদ এক কোটি টাকা এবং আলমারির ভেতর থেকে আরো পঁচিশ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে বাড়িটির নিচ তলায় জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দুই হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার হয়।
এদিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ভোর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ধৃত ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল কারখানার মলিক দাবি করলেও এর কোন বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। জব্দকৃত টাকার বৈধ কোন উৎসও দেখাতে পারেননি। টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েল ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলেও সন্দেহ রয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে, ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে মাদকদব্য নিয়ন্ত্রন আইনে এবং আবাসিক এলাকায় কয়েল কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশ দূষণের অপরাধে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করা হবে। পাশাপাশি জামাল হোসেন বাড়িতে এতো টাকা কি কারণে রেখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কতো টাকার মালিক হয়েছেন এবং তিনি কোন জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সোয়া কোটি টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক-৩

আপডেট সময় : ১২:১৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ জামাল হোসেন মৃধা নামের এক হুন্ডী ব্যবসায়ী ও তার দুই সহযোগিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর নিজ বাড়ী থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত অন্য দুইজন হলো, মোস্তফা কামাল (৪৮) ও মো: কাউছার আহম্মেদ মানিক (৩৪)।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মিজান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান প্রবেশ করবে। এরপর পুলিশ মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই বাড়িটি নজরদারিতে রাখে।
পরে মধ্য রাতে তার বাড়ির তৃতীয় তলার ফাটে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় একটি ট্রাঙ্ক থেকে নগদ এক কোটি টাকা এবং আলমারির ভেতর থেকে আরো পঁচিশ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে বাড়িটির নিচ তলায় জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দুই হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার হয়।
এদিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ভোর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ধৃত ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল কারখানার মলিক দাবি করলেও এর কোন বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। জব্দকৃত টাকার বৈধ কোন উৎসও দেখাতে পারেননি। টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েল ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলেও সন্দেহ রয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে, ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে মাদকদব্য নিয়ন্ত্রন আইনে এবং আবাসিক এলাকায় কয়েল কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশ দূষণের অপরাধে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করা হবে। পাশাপাশি জামাল হোসেন বাড়িতে এতো টাকা কি কারণে রেখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কতো টাকার মালিক হয়েছেন এবং তিনি কোন জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।